খুলনায় রমজানের বাজারে চালসহ ৮ পণ্যের দাম বেড়েছে, অভিযান কাজে আসছে না

306

বিশেষ প্রতিনিধি :

মাত্র ২৮ দিনের ব্যবধানে খুলনায় রমজানের বাজারে চালসহ ৮ পণ্যের দাম বেড়েছে। কমেছে ৪ পণ্যের দাম। চাল, সয়াবিন তেল, গোল আলু, দেশী বিদেশী রসুন, গরুর মাংস, দেশী মুরগীর ডিম, মুরগীর মাংস ও চিনির দাম বেড়েছে। এছাড়া পোঁয়াজ, খাসির মাংস, প্যাকেটজাত লবন ও আদার দাম কমেছে। গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৪০ টাকা বেড়েছে। দেশী মুরগীর মাংস প্রতি কেজির দাম ৪৮০ টাকা। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে। গত ১৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও মজুদ সংক্রান্ত সভায় রমজানে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করার উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়। দাম বৃদ্ধির কারসাজী রোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুপারিশের আলোকে মুল্য পরিস্থিতি যথাযথ তদারিকর জন্য বাজার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সাথে রমজানে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। বাজার কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল এর বাজার দরের সাথে ১২ মে’র বাজার দরের তারতম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। মোটা চাল কেজি প্রতি ২৮-৩০ টাকার পরিবর্তে ৩০-৩২টাকা, মাঝারি চাল ৩৮-৪০ টাকার পরিবর্তে ৪০-৪২ টাকা, চিকন চাল ৫০-৫২ টাকার পরিবর্তে ৫২-৫৪ টাকা, সয়াবিন তেল ৮১-৮২ টাকার পরিবর্তে ৮২-৮৪ টাকা, গোল আলু ১৬-১৮ টাকার পরিবর্তে ১৮-২০ টাকা, রসুন দেশী ৫০-৭০ টাকার পরিবর্তে ৭০-৮০ টাকা, আমদানীকৃত রসুন ৯০-১০০ টাকার পরিবর্তে ১২০-১৪০ টাকা, মুরগীর ডিম ৩০-৩২ টাকার পরিবর্তে ৩২-৩৫ টাকা, গরুর মাংস ৪৪০ টাকার পরিবর্তে ৪৮০-৫০০টাকা, বয়লার মুরগী ১২৫ টাকার পরিবর্তে ১৪০ টাকা, দেশী মুরগী ৩৪০-৩৫০ টাকার পরিবর্তে ৪৬০-৪৮০ টাকা, চিনি ৫৪টাকার পরিবর্তে ৫৫-৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুল্য কমের তালিকায় উল্লেখযোগ্য খাশির মাংস। ৭২০-৭৪০ টাকার পরিবর্তে ৭০০-৭২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকার পরিবর্তে ২৫-২৮ টাকা, বিদেশী পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকার পরিবর্তে ২০-৪০ টাকা, লবন ৩৬-৪০ টাকার পরিবর্তে ৩৬-৩৮ টাকা, আদা ১২০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার জানান, নিউমার্কেট, সান্ধ্যা বাজার ও নতুন বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে চালের দাম কেজি প্রতি ১-২ টাকা বাড়লে অস্বাভাবিক বলা যাবেনা। সন্ধ্যা বাজারে প্রতি কেজি ক্ষিরই ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে বয়লার মুরগী ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৩০-১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে দেশী মুরগীর দাম বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল। কেসিসি ও জেলা প্রশাসনের মনিটরিংএর কারণে বাজার দর স্থিতিশীল রয়েছে। তার দাবি খোলা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা ৮০-৮৫ টাকার পরিবর্তে ৭০-৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারের ক্ষুদে ব্যবসায়ী রুস্তুম আলী জানান, সোমবার প্রকারভেদে প্রতি কেজি ছোলা ৭২ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়রা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘুগরাকাটি, বেদকাশী, হোগলা ও মদিনাবাদ বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া বাজারে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি নেই। দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাফিজ আল আসাদ এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার সেনহাটী, পথের বাজার ও গাজীরহাটে সকল পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। চিনির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রায় প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে