সাতক্ষীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্র আটক

282

“সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ২৯ সদস্য আটক, ১২ জনের কারাদন্ড”

বদরুজ্জামান খোকা , জেলা প্রতিনিধি (সাতক্ষীরা )

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ২৯ সদস্যকে আটক করেছে র্্যপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান সদস্যরা। শুক্রবার ২৪ মে সকালে কলারোয়া থানার পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পত্রের উত্তর ঠিক করার কাজে নিয়োজিত অবস্থায় পরীক্ষার্থী ও প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ২২ সদস্যকে আটক করা হয়। পরবতির্তে অনুসন্ধান অনুযায়ি আরো ৭ সদস্যকে আটক করে। সর্ব মোট ২৯ জন প্রশ্নপত্র ফাঁশ চক্রকে আটক করে র্্যাব। সাতক্ষীরার র্্যাব-৬ এর কমান্ডার মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার অংশ গ্রহনেচ্ছুক কিছু ছেলে/ মেয়ে কলারোয়া উপজেলার সদরের সোনালী সুপার মার্কেট ভবনের কির্ডস সেন্টারে তারা একত্রিত হয়। সেখানে তারা রাত্রি যাপন করে। তিনি আরো জানান রাতভর এবং সকালে মোবাইল ফোনে তাদের কাছে আসা প্রশ্নপত্র ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে সাথে সাথে তার উত্তর ঠিক করে নিতে নির্দেশ করা হয়ে থাকে। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের এমন খবর পেয়ে র্্যাব সদস্যরা ভবনটি ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে ২২ জন সদস্যকে এবং পরবর্তীতে তথ্য অনুযায়ী আরো ৭ জন সদস্য সর্বমোট ২৯ জন সদস্যকে আটক করে। আটককৃতদের মধে হইতে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছে। বিষয়টির্্যাব জানতে পেরেছে যে, ঢাকায় বসে একটি প্রশ্ন ফাঁস চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তাদের কাছে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও তার উত্তর বলে দেবে বলে চুক্তি হয়েছে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এজন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম ৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেয়ার কথা রয়েছে। আটক কৃতদের মধ্যে হইতে একজন জানায় ঢাকায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের একজন কে তাদের সাথে কথা হয়েছে। কিন্তু তার নাম জানেনা, ১২ লাখ টাকা দিতে হবে। তার মধ্যে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা প্রশ্ন হাতে পেয়েছে। প্রশ্নপত্র রাতভর কির্ডস ক্লাবে বসে উত্তর ঠিক করছিল। মোবাইলে প্রশ্ন পেয়ে তা উত্তর ঠিক করার সময় র্্যাপিড অ্যাকশন পুলিশ তাদেরকে আটক করে। আটক কৃতদের মধে ১২ জন কে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের কাছে রক্ষিত প্রশ্নপত্রের সাথে মিল খুজে পাওয়া গিয়েছে।