খুলনায় প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও উপচে পড়া ভিড় জমছে মার্কেটগুলোতে

285

খুলনা ব্যুরো

জৈষ্ঠ্যের প্রচণ্ড গরমে মানুষের অবস্থা বেগতিক। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে উঠছেন। কিন্তু ঈদের মার্কেটে গরমের প্রভাব ফেলতে পারছে না। প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও ঈদের কেনাকাটায় ভিড় জমেছে খুলনার মার্কেটগুলোতে। রোদে পুড়ে, গরমে ঘেমেও থেমে নেই ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার ঈদের পোশাকে গলাকাটা দাম নিচ্ছে দোকানিরা। বিশেষ করে রেডিমেড পোশাক বিপণিবিতান গুলোতে একদরের নামে গলাকাটা দাম রাখছে। দাম বেশি থাকায় পোশাক কিনতে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপণিবিতানগুলোতে এবার বেপরোয়া বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে আসা এক ক্রেতার কাছ থেকে জানা যায়, গত বছর যে পাঞ্জাবি কিনেছি ১৫ থেকে ১৬শ টাকায়। সেই পাঞ্জাবি এবার কিনতে হয়েছে ১৯শ টাকায়। জিরো পয়েন্ট এলকা মার্কেট ঘুরে জানা যায়, সাধারণ একটি থ্রি-পিস যা আগে এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো। ঈদ মার্কেটে তাই হচ্ছে ২২শ টাকা। বছরের অন্যান্য সময়ে মাত্র ৬শ টাকার একটি থ্রি-পিস ঈদের বাজারে ১৮শ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। ফলে গরিব মানুষ তো কিনতে পারছে না এমনকি মধ্যবিত্তদেরও পছন্দের জামা ক্রয় করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য জেলাগুলোর দোকানে ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে পোশাক বিক্রি করার অভিযোগে অভিজাত শপিংমলে অভিযান চালানো হলেও খুলনায় তা চোখে পড়ছে না। যে কারণে কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতাদের জিম্মি করে বাড়তি দাম নিচ্ছেন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী।
অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের দাবি জানান তারা। মহানগরীর শপিং কমপ্লেক্স, জলিল সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, রেলওয়ে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, হাজী মালেক চেম্বার, আড়ং,ডাকবাংলো সুপার মার্কেট, মানিক মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, বড় বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেটে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাকেই বেশি জমজমাট দেখা গেছে। বিপণিবিতা গুলোতে বাহারি নাম আর ডিজাইনে মেয়েদের পোশাকই উজ্জ্বলতা বাড়িয়েছে ঈদ বাজারের।দোকানিরা জানালেন, এবছর ঈদ বাজারে মেয়েদের ঘাগড়া, হুররম আর ভেল্কি এই তিনটি পোশাকের প্রতিই বেশি ঝোঁক সবার। এর মধ্যে হুররমই এবার বেশি সাড়া ফেলেছে। জনপ্রিয় তুর্কি টিভি সিরিয়াল সুলতান সুলেমানের বেগম হুররমের নামানুসারে নাম রাখা হয়েছে পোশাকটির। এছাড়া ইন্ডিয়ান টিস্যু কাপড়ের নানা আইটেমের পোশাকও নজর কাড়ছে এদেশের নারীদের। তবে শাড়িরও চাহিদা রয়েছে এক শ্রেণীর নারীদের কাছে। এছাড়া বরাবরের মতো ছেলেরা শার্ট-প্যান্টের পাশাপাশি কিনছেন পাঞ্জাবি। শিশুদের জন্য রয়েছে রং বাহারি নকশাদার পোশাক। মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, টপস, স্কার্ট, ও প্যান্ট। আর ছেলে শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি, কটি, শার্ট, টি-শার্ট ও প্যান্ট। তবে গরমে ঈদ পরায় এসব পোশাকের মধ্যে সুতি পোশাকের চাহিদা বেশি বলে ধারনা করছে ব্যাবসায়ীরা।