বরিশালে বাইক চালককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে , ‍উল্টো ফেঁসে গেল ৭ পুলিশ

255

বরিশাল থেকে শামীম কাজী

হাবিবুর রহমান নামে ভাড়ায় চালিত এক মোটরসাইকেলের চালককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন পুলিশের কনস্টেবলসহ সাতজন। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি পাঁচ আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ঘটনার শিকার হাবিবুর রহমান রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের কুলাকানা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

হালিম হাওলাদার ও আলতাফ হোসেন ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত কারারক্ষী আবুল কালাম তালুকদার ও তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল গিয়াসউদ্দিন (যশোরে কর্মরত) এবং প্রতিবেশী আবুল হোসেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল খান ও মিজানুর রহমান।

জানাযায়, বরিশাল সদর উপজেলায়  বুধবার ( ১৯ জুন) বিকেলে হাবিবের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন হালিম। পথে মোটরসাইকেলে উঠেন আলতাফ। দক্ষিণ কড়াপুর পপুলার স্কুল এলাকায় পৌঁছালে হাবিবকে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন হালিম ও আলতাফ। এসময় তারা হাবিবের পকেটে জোর করে ইয়াবা বড়ি ঢুকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা না পেরে তারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা বাবুলের মোবাইল ফোনে কল দেন এবং হাবিবকে ইয়াবাসহ আটক করেছেন বলে দাবি করেন। বাবুল ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। ইউপি চেয়ারম্যান এয়ারপোর্ট থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে হালিম ও আলতাফসহ হাবিবকে থানায় নিয়ে আসে। এসময় হাবিব, হালিম ও আলতাফকে জিজ্ঞাসাবাদে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।’ মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হাবিব।