ধর্ষণ শেষে কোরআন শরিফে হাত রেখে দোজখের ভয় দেখাতেন বেলালী

185

নেত্রকোনার একটি মহিলা মাদরাসায় কোমলমতি শিশুদের ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত আটজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। ধর্ষণের পর তিনি কোরআন শরিফে শিক্ষার্থীদের হাত রেখে তাদের দোজখের ভয় দেখাতেন যাতে তারা ওই কথা কাউকে না বলে। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

কেন্দুয়া উপজেলার বাদে আঠারবাড়ী মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসার মুহতামিম আবুল খায়ের বেলালীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুই ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুটি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার বিকেলে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বেলালীকে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহজাহান মিয়া জানান, গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বেলালী ১১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন এবং তাকে যথারীতি কোরআন শরিফে হাত রেখে শপথ করান। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয় এবং সেই যন্ত্রণার মুহৃর্তগুলোর কথা তার বড় বোনসহ বাড়ির লোকজন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে বলে দেয়। এরপর এলাকাবাসী বেলালীকে আটক করে পুলিশে দেয়। তিনি থানায় আটক থাকা অবস্থায় আরো এক শিশু (৭) পুলিশকে জানায় তার ওপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের কথা। সৌজন্যে : কালের কন্ঠ