ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি: প্রধানমন্ত্রী

201

সমাজের সব অসঙ্গতি দূর করবো। অপরাধ দূর করতে যা যা করার সবই করা হবে। যাকে যাকে ধরা দরকার তাদের ধরা হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজটা খুব কঠিন, বাধা আসবেই, সবই জানি। কিন্তু জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফেরাতে সরকার তা করবে।

সংগঠনের ভাবমূর্তি বাড়বে এমন কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগকে সততা, আদর্শ নিয়ে সংযমের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। আমি কোনও নালিশ শুনতে চাই না। নিজেদের ইমেজ বাড়াতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানা।

এসময় নাহিয়ান জয় ও লেখকের সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তানজিল ভূইয়া তানভীর, রেজাউল করিম সুমন, সোহান খান, আরিফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, ইশাত কাসফিয়া ইরা; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, শামস-ই-নোমান, মো. শাকিল ভূইয়া, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, বেনজীর হোসেন নিশি; সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরিনা ইতি, মামুন বিন সাত্তার ও সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়াও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন; ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়; ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ।

গণভবনে এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাংগঠনিক বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক।

নানা বিতর্ক, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই দুই পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।