মহানবীকে নিয়ে কটুক্তিকে কেন্দ্র করে ভোলায় সংঘর্ষ, নিহত ৪, আহত অর্ধ শতাধিক

240

আরিফুর রহমান সেতু, ষ্টাফ রিপোর্টার  

ফেসবুকে মহানবী (স) এর কটুক্তিকে কেন্দ্র করে আজ রবিবার বেলা ১২ টা নাগাদ জনতা ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এর ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদন লেখা  পর্যন্ত সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- মিজান (৪০) ও মাফুজ পাটোয়ারি (৪৫)। অপর দুজন মারা যান ভোলা সদর হাসপাতালে। ভোলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ মজুমদার তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে সাংবাদিক-পুলিশসহ আহত হন অর্ধশতাধিক। আহতদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অনুমতি ছাড়াই তারা সমাবেশ করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের দ্রুত শেষ করতে বলি। কিন্তু তারা কথা না শুনে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়তে বাধ্য হই আমরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বোরহানউদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবক শুক্রবার বিকেলে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকজনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে আল্লাহ ও রাসূল (স.)-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। একপর্যায় কয়েকটি আইডি থেকে ম্যাসেজগুলোর স্ক্রিন শর্ট নিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন প্রতিবাদ জানালে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। পরবর্তীতে ফেসবুকজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর বিপ্লব চন্দ্র বোরহানউদ্দিন থানায় আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে জিডি করতে আসলে থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে রাখেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে স্থানীয়রা।