নাউলি পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ : এলাকায় তোলপাড়: ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা

501

।।হান্নান শেখ, ক্রাইম রিপোর্টার-যশোর।।

যশোর অভয়নগরে পুলিশের এএসআইকে অবরুদ্ধ করে রাখে নাউলি গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। মূলত  ওয়ারেন্টের আসামীকে ছিনিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে যশোর পুলিশের অতি: পুলিশ সুপার জামাল আল নাসেরের নেতৃত্বে অভয়নগর থানা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীসহ সেই ওয়ারেন্টর আসামী পলাতক রয়েছে।

২১ অক্টোবার সোমবার এএসআই সঞ্জয় কুমার সন্ধ্যায় স্থানীয় নাউলী গ্রামের গফুর মহলদারের ছেলে ওয়ারেন্ট আসামী কবির মহলদারকে আটক করতে যায়। নাউলী বাজারে কবির মহলদারকে আটকের পর ওই বাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান মল্লিক পুলিশের কাছ থেকে কবির মহলদারকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ওয়ারেন্টের কাগজে পিতার নাম না মেলায় হাফিজুর মল্লিকের সাথে সুর মেলান স্থানীয় আরও অনেকে।

এ সময় পুলিশ তাকে ছাড়তে অস্বীকার করায় হাফিজুর রহমান মল্লিকের নেতৃত্বে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি পুলিশের সোর্স নামে পরিচিত ওই এলাকার কুতুব নামে এক যুবককে মারপিট করে। তাকে রক্ষার্থে পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় এগিয়ে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে যশোর পুলিশের অতি:পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের অভয়নগর থানায় আসেন এবং ওসি তাজুল ইসলামসহ অতিরিক্ত পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ আসার খবরে হাফিজুর রহমান মল্লিক আসামী কবির মহলদারকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, ওয়ারেন্টের কাগজে কবির মহলদারের পিতার নাম গফুর মহলদারের স্থানে ভুলবশত বারিক মহলদার লেখা হয়। বিষয়টি গত দু’দিন আগে ক্যাম্প আইসিকে জানালে তিনি দুদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে একটি প্রত্যয়ন দিবেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাকে জানান।

 এ বিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওয়ারেন্টের আসামীর পিতার নাম ভুল লেখা থাকা নিয়ে এলাকার হাফিজ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বাকবিতন্ড ও লাঞ্ছিত করেছে। পুলিশেরে এএসআই সঞ্জয় নাউলী বাজারে আসামী ধরলে হাফিজ মল্লিক নামে ওই ব্যক্তি পুলিশের উপর চড়াও হয়। ।

আমতলা পুলিশ ক্যাম্প ইুনচার্জ  গৌতম কুমার মন্ডল জানান, এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা এ এস আই সঞ্জয় কুমার বাদি হয়ে ৬জন সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ রয়েছে।