মুশফিক নজরদারিতে

157

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে যে কালো তালিকায় থাকা একজন ক্রিকেট জুয়াড়ি টেলিফোনে কথা বলেছে- সেটা ফোন কল ট্র্যাক করে জানতে পেরেছিল আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। সে সময় শুধু সাকিব নয়, বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকেও আকসুর জেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। মুশফিকের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে এ খবর।

আকসু মুশফিকুরের কাছেও জানতে চায়-তাকেও কোন ক্রিকেট জুয়াড়ি ফোন করেছিলো কিনা। মুশফিক জানান-না তিনি অমন কারো কাছ থেকে কোন ফোন কল পাননি। আকসু তখন বাড়তি পর্যবেক্ষণের জন্য মুশফিকের মোবাইল ফোন চায়। সেই ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে। তারপর নিশ্চিত হয় মুশফিকের মোবাইলে অমন কোন কল আসেনি।
সেই সময় সাকিব কোন ক্রিকেট জুয়াড়ির ফোন কল পাওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পরে আইসিসি যখন তার সামনে কললিস্ট হাজির করে তখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন সাকিব। নিজের পক্ষে তখন সাকিব যুক্তি দাঁড় করান এভাবে-‘ব্যাপারটাকে আমি তেমন গুরুত্ব দিতে চাইনি, তাই আইসিসিকে বিষয়টি অবহিত করিনি।’

ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত আইসিসির যে বিধিবিধান আছে সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে ‘কোন জুয়াড়ি যদি কোন ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় বা তার সঙ্গে কোনভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাহলে সেটা তৎক্ষণাৎ আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) জানাতে হবে।