সাতক্ষীরার বাঁশদহা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্প অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর অভিযোগ

635
সাতক্ষীরা জেলা-যুগান্তর

।।জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা।।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এক নম্বর বাঁশদহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস,এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকল্প অনিয়ম ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। ৪ নভেম্বর সোমবার বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের ছবেদ আলী,কামরুল ইসলাম,মোশারাফ হোসেন,মহাসিন আলী,আব্দুল কাদের,সাবিনা ইয়াসমীন,জহুরা খাতুন এই ৭জন ওয়ার্ড সদস্য লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর অভিযোগ করেছে।

আবেদন সূত্র জানা যায়, বাঁশদহা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশাররফ মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের কথা কাওকে না জানিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও বয়ষ্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবদ্ধী ভাতা,গর্ভবতি ভাতার কার্ড কোন মেম্বদের না দিয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে গরিব অসহায় ব্যাক্তিদের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায় চেয়ারম্যান এল,জি,এস,পির অর্থ কোন সদস্যদের না দিয়ে তাদের স্বাক্ষর নকল করে নিজের ইচ্ছা মত যে প্রকল্পে কাজ করা আছে সেই প্রকল্পে দিয়ে নিজের স্ত্রীকে ঠিকাদার বানিয়ে টাকা আতœসাত করেছে। এছাড়া বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদে ২০টি ঘর বরাদ্ধা হয়। যাহা চেয়ারম্যান কোন মেম্বার কে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছ মত ৩টি ওয়ার্ডে ভাগ করে দিয়েছে। বাকি ৬টা ওয়ার্ডে কোন ঘর দেইনি। প্রাথমিক পর্যয় ঘরের বিষয়ে সদর ইউ,এন ও নিকট অভিযোগ হলেও তিনি উভয় পক্ষকে আপোষ মিমাংসা করে দেন।
এবিষয় ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মোশারাফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঐ চেয়ারম্যান আমার ৩ মাসের সরকারী ভাতা মেরে খেয়েছে। আমাকে ভাতার টাকা পর্যন্ত দেইনি। তিনি আরও বলেন যদি ঔ চেয়ারম্যানকে দুর্নিতি থেকে থামানো না যাই তবে এর পরে ইউনিয়ন পরিষদের ইট পর্যন্ত খুলে বিক্রি করে খেয়ে ফেলবে।
এবিষয়ে বাঁশদহা ইউপির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তিনি আরও বলেন আমি কোন প্রকল্পের অনিয়ম করিনি বা কোন অর্থ আতœসাত করিনি। এবং সকল সদস্যদের সরকারী ভাতা পাওয়া মাত্র ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের মাধ্যমে ভাতা রেজিঃ স্বাক্ষর করিয়ে বন্ঠন করেছি।