পলিথিন ব্যবসা জমজমাট, হুমকিতে মাটির উর্বর

227

উৎপল ঘোষ :
যশোর সদরসহ আটটি উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন আমদানি ও বিক্রয় করলেও দেখার কেউ নেই। স্থানীয় হাট বাজার এবং দোকানগুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বড় বড় মুদি দোকানে বিভিন্ন সাইজের নিষিদ্ধ প্যাকেট পলিথিন পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করা হচ্ছে। এসব পলিথিনের ক্রেতা চিড়া, মুড়ি, গুড় ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ী, মিষ্টি ব্যবসায়ী, খুচরা মুদি ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী। ভোক্তারা দোকান থেকে কোন কিছু ক্রয় করলে সেসব দ্রব্য পলিথিনের ব্যাগে ভোরে দেওয়া হচ্ছে। পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের পর পলিথিনের ব্যাগ যেখানে সেখানে ফেলে দিচ্ছে তারা। এরফলে বর্জ্য পলিথিন মাটিতে পড়ে একদিকে যেমন মাটির উর্বর শক্তি নষ্ট হচ্ছে অপর দিকে ড্রেন নদী নালা খাল বিলে গিয়ে ভরাট হয়ে পানির স্বাভাবিক গতি বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। নিম্নমানের পলিথিনের খাদ্য মোড়ক করায় তাতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও রয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহারে সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা মানছে না কেউ। উপজেলা প্রশাসন থেকে বছরে দুই এক জায়গায় লোক দেখানো অভিযান চালালেও কাজের কিছুই হয় না। বরং ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন পলিথিন ব্যাগ ব্যবসায়ী জানান, যশোর খুলনা-ফুলতলার একজন ব্যবসায়ী শিল্প শহর নওয়াপাড়া সহ বিভিন্ন মোকামে পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করে থাকেন। আমরা তার নিকট থেকে ক্রয় করে খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় করে থাকি। সৌখিন খরিদদাররা পলিথিনের ব্যাগে মাল নিতে নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখন কাগছের ঠোঙ্গায় পণ্য দিলে অনেকেই নিতে চাই না। তাই বাধ্য হয়ে পলিথিন দোকানে রাখতে হয়। তিনি দৈনিক যশোর প্রতিনিধিকে বলেন সরকার পলিথিনের ব্যাগ কোম্পানীগুলো বন্ধ করে দিলে আমরা আর বিক্রয় করবো না। সরকার সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর জরিমানা করেন। যখন প্রশাসন থেকে অভিযান চলে তখন পলিথিন ব্যাগ আমরা লুকিয়ে রাখি। তখন কথা হয় সাধারণ ক্রেতার সঙ্গে। মণিরামপুরে সাধন দাস বলেন, পলিথিন বাজার থেকে একেবার উঠাতে হলে এর বিকল্প ব্যাগ আগে বাজারে ছাড়তে হবে। তা না হলে পলিথির বাজার থেকে সমূলে উঠানো যাবে না।