বসুন্দিয়ায় চলছে সম্পত্তির দাবাখেলা

183
ক্রাইম রিপোর্টার যশোরঃ
যশোরের বসুন্দিয়া বাজার ধনাঢ্য মৃত হাজী এতেম আলী খানের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সম্পদের দাবা খেলা।  গত বছর সঙ্গবদ্ধ হয়ে রমজান আলী খানের নড়াইলের ঘের দখল করতে গিয়ে গণপিটুনি খেয়ে প্রায় মরতেই বসেছিল কাশেম খান। বাগানবাড়ি দখল করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি কাশেম খান।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, নিজ ভাইজি শিশু কন্যাকে অপহরণ করে একলক্ষ টাকা আদায় করার পাকরাও করে।এবং বিশ-লক্ষ টাকা  দাবি করে বসে  পপি বেগম এবং পপির ইন্দোন দাতা ভাসুর মোস্তফা খানের সহায়তায় পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করে বলে জানা যায়
।স্থানীয় সুত্র জানায়, গ্রামের বিভিন্ন লোকের কাছে  টাকা চাইতে শুরু করে এবং হুমকি স্বরূপভাবে বলে রমজান খানের ভিটেবাড়ি ভোগ করার ইচ্ছা থাকলে নগদ বিশ-লক্ষ টাকা  দিয়ে আসতে হবে বলে জানায় এই কাশেম খান।
উল্লেখ থাকে যে, গত ১৬-১০-১৮ তারিখে রমজান আলী খানকে প্রকাশ্য দিবালোকে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে মোস্তফা খান ও তার ভাইপো বাবু খান (কাকন)।স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এদের দাপট বেড়ে গেলে রমজান আলী খান তার নিজ নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়। অথচ ঐতিহ্যবাহী পরিবারটির শান্তির জন্য স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি আমলে নেয়-নি। গত ১৬-১০-১৯ তারিখে রমজান আলী খান তার নিজস্ব  বাগানবাড়ির জলপাই বাগানটি বিক্রি করে ইউনুস মোল্লার কাছে।পরবর্তীতে জলপাই পাড়তে গেলে পাড়া জলপাই ছিনিয়ে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা । তাৎক্ষণিকভাবে বলে বিশ-লক্ষ টাকা না দিলে রমজান আলী খানকে বাগানে আসতে দিব-না অন্যথায় তার চোখ তুলে নেবে বলে হুমকি দেয়। রমজান খান তার বৈধ কাগজপত্র দিয়ে বেপারীকে সাহায্য করলে, বেপারী ইউনুস মোল্লা যশোর কোতোয়ালি সদর থানায় একটি অভিযোগ করে। আসামীরা ১/ মোস্তফা খান ২/ আঃ কাশেম খান ৩/ ফেরদৌস খান ৪/ পপি বেগম ৫/ সুমি ও ৬/ সানিম-কে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই  মাহাবুব’র নেতৃত্বে বিষয়টি তদন্ত করে  এবং তদন্তের সত্যতা পাওয়া সত্বেও আসামী-গণ আবার হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে ।
এই সময় রমজান খান নিরু-পায় হয়ে ৬ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি মামলা করে আসলে কোর্ট তদন্তভার পি,বি,আই’কে প্রদান করে। এরই মধ্যে বেপারী ইউনুস মোল্লার জলপাই পেকে ৬০% ঝড়ে যায় ।  যশোর পিবিআই অফিসার  তদন্তে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পরিত্যক্ত বাড়ির ছবি তুলে নিয়ে যায় এবং উভয় পক্ষকে ১৩-১১-১৯ তারিখে অফিসে ডাকে। মেধাবী এবং কৌশলী অফিসার পারিবারিক শান্তির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথার জাল ফেলতে থাকে। এই সময় কাশেম খান ধার্যকৃত বিশ-লক্ষ টাকা অকপটে শিকার করে।
কিন্তু, ধুরন্ধর ভগনী-পতি রশিদ খান বিষয়টি বুঝতে পেরে   শাঁক-দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে।  এসময় পিবিআই অফিসার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে বলেন, আপনারা সংযত হয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেন। অতএব বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টান্ত-মূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী।