অভয়নগর ও ফুলতলা ২০ শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য দূষিত করছে ভৈরবের পানি

167
 উৎপল ঘোষ, ক্রাইম রিপোটার।।
এককালে ভৈরব নদ ছিল দক্ষিণাঞ্চলের অগনিত মানুষের জীবন রক্ষার একমাত্র অবলম্বন।  এখন সেই ভৈরবনদ নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার।  নদের পানিও বিষাক্ত।  তাকে করা হয়েছে বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন। ময়লা আবর্জনা,পচাগলা ফেলা সহ নদে সংযোগ করা হয়েছে পায়খানার নর্দমা।   প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পানি দূষণ বন্ধে পানিতে বর্জ্য আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। ভৈরব নদে পূর্ব পাড়ের বসবাসকারীরা এবং বন্দরের হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ হাত-পা-মুখ ধোয়া সহ গোসল করে থাকে। পানি দূষিত তা জেনেও উপায়হীন  মানুষেরা নদীর পানি ব্যবহার করে থাকেন। চিকিৎসা বিশেজ্ঞরা বলেছেন, দূষিত পানি ব্যবহারের কারনে নানা চর্মরোগ সহ জটিল রোগীর সংখ্যা ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন্তাশীল মহল বলেছেন জীবন রক্ষাকারী পানি দূষণমুক্ত করতে হলে নদকে বর্জ্য আবর্জনা ভাগাড় করতে দেওয়া যাবে না। চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে পানি দূষণের অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।  বর্জ্যর নদের সংযোগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে শহরের বাসিন্দারা পানি দূষণ করে চলেছে। বাসা বাড়ী ও শহরের ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নির্বিগ্নে।
সচেতন মহল বলেছেন,   চামড়ার মিলের  কেমিক্যাল ও বর্জ্য সহ ভারী প্রায় ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্যামিক্যাল ও বর্জ্য সরাসরি ভৈরব  নদীতে নিক্ষেপ হচ্ছে। তারপরও রয়েছে নদীর জায়গা দখলের মহোৎসব। ভূমি খেকোদের সরকার থেকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিক বার  নোটিশ ও মাইকিং প্রচার করা হলেও ভূমি খেকোরা বিষয়টি আমলে নেয়নি। অর্থনৈতিক বিবেক বর্জিতদের বেপরোয়া কর্মকান্ড দেখার যেন কেউ নেই এবং কারোর মাথা ব্যাথা নেই। এলাকার অগণিত মানুষের একমাত্র অবলম্বন ভৈরব নদ এবং তার পানি যেকোন মূল্যেে রক্ষা করার দাবি করেছে নদী বাঁচাও সংগঠন ও অগণিত ভুক্তভোগীরা। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে,  অনতিবিলম্বেে নদ এবং নদের পানি দখল ও দূষণ মুক্ত করতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার এখনি সময়।