খুলনা মহানগর ৩৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সম্মেলনের হাল হকিকত

364

খুলনা থেকে আবু হামজা বাঁধন।।
যে কোন মুহুর্তে খুলনা মহানগর ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ঘন্টা বেজে উঠতে পারে। পরপর ৩৪ ও ৩৫ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন হলেও হঠাৎ থেমে যায় ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন। তবে যে কোন সময়ে মহানগর থেকে নির্দেশনা আসতে পারে এ ওয়ার্ডের সম্মেলনের নতুন দিনক্ষনের। ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী পদপ্রার্থী হিসেবে নতুন করে কয়েকজন প্রার্থীর নামের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় নেতা কর্মীদের সূত্রে জানাযায়, সর্বশেষ এ ওয়ার্ড থেকে যারা নেতৃত্বের হাল ধরতে লড়াই করছেন , তারা হলেন বর্তমান চলমান কমিটির সভাপতি সরদার আব্দুল হামিদ, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কিসমত আলী। এছাড়া সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে শেখ মনিরুজ্জামান বাবুল ও সেক্রটারী পদপ্রার্থী হিসেবে আঃ রবের নাম উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি সরদার আব্দুল হামিদ দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিক নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এছাড়া আ’লীগের সভাপতি পদে কোন প্রার্থী এর আগের সম্মেলনে না থাকায় এককভাবে তিনি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করেন। দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি এ ওয়ার্ডের হাল ধরে আসছেন। দলের ক্রান্তিকালে তার ভূমিকা ছিল অনেকটা চোখে পড়ার মত।

ওই সম্মেলনে সৈয়দ কিসমত আলী নতুন মুখ হিসেবে রাজনীতিতে পা দিয়েই সেক্রেটারীর পদে আসীন হন। অনেক প্রতিকূল পরিবেশেরে পরেও তিনি সাধারন সম্পাদক পদে এখনও দায়িত্বে রয়েছেন।

অন্যদিকে শেখ মনিরুজ্জামান বাবুল দুই যুগের বেশির সময় ধরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন। তিনি চলমান কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এ দিকে আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নেতৃত্বের পালাবদল ঘটানোর চেষ্টা করছেন। আ’লীগ পরিবারের সন্তান মনিরুজ্জামান বাবুল অনেকটা ক্লিন ইমেজ নিয়ে রাজনীতি করে আসছেন।

দীর্ঘ দিন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন আঃ রব মোল্যা। তবে হঠাৎ মূল দলের কাউন্সিলর হয়েছেন। এদিকে ৩৬নং ওয়ার্ডের আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে রাজনীতির মাঠে লড়ে যাচ্ছেন। আঃ রব মোল্যা ৩৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারন সম্পাদক।

উল্লেখিত চার প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দলের দূদিনে রাজপথে ভূমিকা কেমন ছিল এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কতটুকু যোগ্যতা রাখে তার প্রমাণ হবে আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন নেতা কর্মীর ব্যালটে এবং দলীয় সিদ্ধান্তে। সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। সূত্রে জানাযায়, এ ওয়ার্ডে তীব্র গ্রুপিং থাকায় কিছুটা সংঘাতের সম্ভাবনা ছিল। তবে অনেকেই মনে করছেন যেহেতু দুটি গ্রুপই শক্তিশালী ফলে শান্তিপ্রিয় ভাবে সম্মেলন শেষ করাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে।

কথা হয় খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেনের সাথে। তিনি জানান, আওয়ামীলীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। ফলে আসন্ন সম্মেলনে আমরা প্রার্থীতা আহবান করব যে ইচ্ছা প্রার্থী হতে পারবে। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ আবিদ বলেন, কোন প্রকার সংঘাতের সম্ভাবনা নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমরা সম্মেলন শেষ করতে পারব।

এদিকে কথা হয় খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলীর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, খুলনা মহানগর সম্মেলন ১০ ডিসেম্বর। এর আগেই প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন আমাদের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মহোদয়ের নেতৃত্বে সফলভাবে শেষ হবে। তবে ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন নিয়ে তিনি জানান, অচীরেই আমরা এ ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করব। সম্পূর্ণ শান্তি শৃংখলার মধ্যে দিয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডের মত এখানেও সম্মেলন সফল হবে।

তবে ৩৬নং ওয়ার্ডের শতশত নেতা কর্মীর একটাই দাবি । আসন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মী বান্ধব ও দলের দূঃসময়ের রাজনৈতিক কর্মীদের সভাপতি ও সেক্রেটারীর দায়িত্ব দেওয়া হোক। না হলে কোন প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা আসলে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি কালো মেঘে ঢেকে যাবে। (চলবে)