মহেশখালীতে ন্যায় বিচারের আশায় সেনোয়ারা বেগম দ্বারে দ্বারে ঘুরছে

191

ডেক্স রিপোর্ট : কক্সবাজার মহেশখালী থানার কালালিয়া কাটার আবুল হোছন এর পরিবার দীর্ঘ দিন যাবৎ একটি কুচক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্রে রয়েছে। একটি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একের পর এক মামলার শিকার হতে হচ্ছে আবুল হোছন এর পরিবারকে। যারফলে আবুল হোছন এর পূত্র ও তাঁর কণ্যা ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
সূত্রে জানাযায়, হোয়ানক ইউনিয়নের কালালিয়া কাটায় একই ওয়ারিশ নাম উল্লেখ পূর্বক দুটি পরিবার জমির মালিকানা দাবি করছে। সেই সাথে দুটি পরিবারই তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাগজাদি পেশ করেছেন। যার মধ্যে দুটি পরিবারই দাবি করেছেন তাদের পিতামহ শিকদার আলী এবং শিকাদর আলীর পিতার নাম আশরাফ আলী ও তার পিতার নাম কজিমউদ্দিন। অথচ মোহাম্মদ আলী দাবি করেছেন সেনোয়ার বেগমের পূর্ব পুরুষ শিকদার আলীর পিতার নাম আশরাফ আলী নয় বরং কাজিম উদ্দিন। তবে আমার পিতা শিকদার আলীর পিতার নাম আশরাফ আলী এবং দাদার নাম কাজিম উদ্দিন। এখানেই পার্থক্য। তবে সেনোয়ারা বেগম দাবি করেছেন , তার পিতামহ শিকদার আলীর পিতার নাম আশরাফ আলী ও আশরাফ আলীর পিতার নাম কাজিম উদ্দিন। কাকতালীয়ভাবে দুটি পরিবারের পূর্ব পুরুষের নামের সাথে মিল রয়েছে কি না বা সাজানো নাটক তার অনুসন্ধানে ব্যাপক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসে।
মামলার বাদি দিদারুল ইসলাম জানান, রশিদ মাস্টার নামে এক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও আমার পিতা হাজী সিদ্দিক আহমদ ২৯ বছর পূর্বে শিকদার আলীর কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন এবং তাঁর ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে আবুল হোছন এর সন্তানেরা তাদের সম্পত্তি জালিয়াতি করে দখল করার জন্য ভূঁয়া ওয়ারিশ সনদ দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেছে। ফলে আমি বাদি হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। যার মামলা নং : সি আর ৮৯/১৮।
এদিকে মামলার বিবাদীগণ তাদের বিরুদ্ধে দিদারুল ইসলামের অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। এছাড়া বিবাদীগণ উল্লেখ করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচার পাব।
আমরা কোন ওয়ারিশ সার্টিফিকেট জাল করে নাই। আবুল হোছন এর কণ্যা সেনোয়ারা বেগম জানান, ওয়ারিশ সনদ পরপর তিনজন চেয়ারম্যান তাদের মেয়াদকালীন আমাদের দিল। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালও গত ২৭/১২/২০১৭ ইং তারিখে দিয়েছে। কি এমন ঘটনা ঘটল বা কোন রহস্যের কারণে চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের দেওয়া সেই ওয়ারিশ বাতিল করেছেন। এর ব্যাখা আমরা আজও খুঁেজ পায়নি। তবে আমরা সঠিক আছি। আমরা অবশ্যই ন্যায় বিচার পাব। খুব শ্রীঘই আমরাও আদালতের সরনাপন্ন হবো। কারণ বর্তমান আমরা জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। একের পর এক হামলা ও হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে একটি পক্ষ।
কথা হয় ৫নং হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তফার সাথে। তিনি জানান আমরা আবুল হোছন এর ওয়ারিশ বাতিল করেছি অত্র এলাকার গণামান্য ব্যাক্তিদের সাথে বসে। এছাড়া আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ওয়ারিশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান মোস্তফা জানান আমরা জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে আমাদের প্রদত্ত ওয়ারিশ সনদ বাতিল করেছি। তবে আপনাদের আস্থা না থাকলে দু’পক্ষ আসুন । দরকার হলে পুনরায় বসা হবে বিষয়টি নিয়ে।

এখানে শেষ নয় । চেয়ারম্যান মোস্তফা সহ অন্যান্যদের ভিন্ন মন্তব্য ও অনুসন্ধানীতে বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য । যা আগামী সংখ্যায় প্রকাশ হবে। (চলবে)