দক্ষিনাঞ্চলে অবৈধপন্য পাচার হচ্ছে ট্রেনে : প্রশাসন নিরব

161

উৎপল ঘোষ, ক্রাইম  রিপোর্টার :

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা-যশোর-বেনাপোল রুটে কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কমিউটার ট্রেনের মাধ্যমে পন্য পাচার। সরকারী এই যানবাহনটি পরিণত হয়েছে চোরাকারবারীদের নিরাপদ রুট হিসেবে। আর এর সাথে জড়িত রয়েছে ট্রেনের বেশ কিছু অসাধু কর্মচারী ও রেলওয়ে পুলিশ। এই রুট দিয়ে নিরাপদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌছে যাচ্ছে ফেনসিডিল, গাজা, ইয়াবা ও হিরোইন। রাসায়নিক সার, কসমেটিক্স গহনা, মসলা জাতীয় দ্রব্য, শিশু খাদ্য, বোমাতৈরির সরঞ্জামসহ মারাত্মক অস্ত্র। চোরাচালান প্রতিহত করতে রয়েছে সীমান্তের বিজিবি ও পুলিশ তারপরও চলছে অবাধে এসব ব্যবসা। চোরাচালানে কখনো সহায়তা করছে সীমান্তের টহলরত অসাধু বিজিবি সদস্য। কখনো উৎসাহিত করছে পুলিশ সদস্য। তবুও স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয়, চোরাচালানের মতো দেশধ্বংসী তৎপরতায় একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতারা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে উৎসাহ যুগিয়ে থাকে। বেনাপোল চেকপোস্ট সীমান্ত পার হলে ঢাকা বেনাপোল সড়কের আমলাখালী নামক স্থানে বিজিবির চেকপোস্ট, বেনাপোল বন্দর থানা, কায়বা বিজিবি ক্যাম্প, কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্প, নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ি, শার্শা থানা, ঝিকরগাছা থানা অতিক্রম করে যশোর আসতে হয়। যার কারণে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ এড়িয়ে মাদক ও অস্ত্রের চালান সড়কপথে পাচার করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে ট্রেনের চোরাই পন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অনেক সহজলভ্য। ট্রেনের শুধুমাত্র পুলিশ সদস্য বেনাপোল স্টেশন ট্রেনে অবৈধ পন্য তোল পর্যন্ত। একবার এসব পন্য ট্রেনে তোলা হলে বেনাপোল থেকে যশোর খুলনা আর কোথাও বাধা নেই। নেই কোথাও ট্রেন পুলিশের চেক। চেকের দায়িত্বে নিয়োজিত রেলওয়ে পুলিশ। নির্দিষ্টভাবে টাকা পেয়ে এসমস্ত পন্য কারা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না। যার করণে সড়ক রুটের চেয়ে বেনাপোল খুলনা কমিউটার ট্রেন চোরাচালানিদের জন্য অনেক নিরাপদ। মাদক ও অস্ত্র পাচারের জন্য এসব চোরাচালানি সিন্ডিকেট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল করে থাকে। নিরাপদ রুট পেয়ে এ রাস্তা দিয়ে অস্ত্র ও মাদক সহ অবৈধভাবে পন্য পাচার হতে থাকে। জানাগেছে, যশোর জেলার শার্শা উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে মাদক জোন হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলার সীমান্ত জুড়ে রয়েছে অনেকগুলো সীমান্ত ঘাট। উল্লেখযোগ্য কায়রা, গোগা, পাচভুলোট, পুটখালি, বেনাপোল, শিকারপুর, ছোট আচড়া, বাহাদুরপুর অঞ্চলগুলো বিদ্যমান। এসব ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে আসে মাদকসহ অস্ত্র। এবং পাচার হয়ে যাচ্ছে নারী শিশু, গ্যাস, সয়াবিন ও পিতল, পেট্রল, সোনাসহ দেশের মূল্যবান সমপদ। নামমাত্র মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু অবৈধ পন্য আটকালেও থেকে যায় অন্ধকারে বড় বড় চোরাকারবারিরা। ভারতীয় পন্য অবাধে বিচারণের কারণে দেশেয় প্রতিষ্টান মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। নেশায় আসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ। অনতিবিলম্বে বেনাপোল খুলনা কমিউটার ট্রেনে কর্তৃপক্ষ সচেতন ও উদ্ধর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।