খুলনায় প্রথম ড্রামের সেতু

281
মোঃ আল আমিন খান, খুলনা ব্যুরো    
খুলনা জেলার দু’টি উপজেলার হাজারো মানুষ প্রথম ভ্রাম্যমাণ ড্রামের সেতুতে সুবিধা পাচ্ছে সম্পূর্ণ টোল ফ্রিতে। আঠারো বেঁকি নদীর ওপর যাতায়াত করছে রূপসা ও তেরখাদার উপজেলাবাসী। যার ফলে দৈনন্দিন কাজে সাধারণ মানুষের নৌকা পারাপারের ঝামেলা কমেছে। এ ড্রাম সেতুটি এখন খুলনার আশেপাশের মানুষের দর্শনীয় স্থান হিসেবেও রূপ নিয়েছে। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকেলেই ড্রামের তৈরি সেতু দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে আঠারো বেঁকি নদীর ওপর অবস্থিত খুলনার একমাত্র এবং প্রথম ড্রামের সেতু। এর পশ্চিম পাশে তেরখাদা উপজেলার আজোগড়া ইউনিয়নের শেখপুরা বাজার এবং পূর্বপাশে রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের শিয়ালী বাজার। ড্রামের সেতুকে কেন্দ্র করে এলাকার চিত্র বদলাতে শুরু করেছে। সেতুকে কেন্দ্র করে অনেক ইজিবাইক চালক আত্মকর্মসংস্থানে নেমেছে। জরুরি রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ দিন মজুররা ড্রামের সেতুর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা নিচ্ছে। স্থানীয় জনগন বলেন, গেল সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আঠার বেঁকি নদীতে নৌকা চলাচল করত। নৌকার স্বল্পতা এবং জরুরি প্রয়োজনে নৌকা মিলত না। পাশাপাশি ছিল টোল। বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী দুই উপজেলার মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে টোল ফ্রি করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নির্বাচনের পর দুই এলাকার মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে ব্রীজ নির্মাণ অসম্ভব হওয়ায় তিনি প্লাস্টিকের ড্রামের সেতু নির্মাণ করার বিষয়ে আশ্বাস দেন। যার ফলশ্রতিতে সংসদে নিজস্ব তহবিল এবং দুই উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ড্রামের সেতু নির্মাণ করা হয়।