আইজিপি’র দৃষ্টি আকর্ষণ, পিতা মুক্তিযোদ্ধা না হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হয়ে ছেলে পুলিশ অফিসার

154

স্টাফ রিপোর্টার :

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি’র দৃষ্টি আকর্ষণ : পিতা মুক্তিযোদ্ধা না হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হয়ে ছেলে পুলিশ অফিসার। ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে পিতার কথিত মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছেলে পুলিশ বাহিনীর সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেছেন অথচ পিতা মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছেন ২০১১ সালে, এমন গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে জালাল উদ্দিন নামে বর্তমানে ওসি হিসেবে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আর উক্ত তথ্য ফাঁস হওয়ার নিজেকে রক্ষা করতে উক্ত মুক্তিযোদ্ধা সনদের সাল ও তারিখ পাল্টাতে চলছে গোপন মিশন। অভিযোগে জানা গেছে, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার তোজাম্মেল হক নামক ব্যক্তি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন এবং সকল সুবিধা গ্রহন করছেন আর সেই সুবাদে তার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে অবৈধভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি নিয়েছেন। অভিযোগে প্রকাশ, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলাধীন নওপাড়া গ্রামের মৃত ছেফাতুল্লা প্রামাণিক এর ছেলে মোঃ তোজাম্মেল হক, যার মুক্তিযোদ্ধো গেজেট বই নং-৩১,৩১৮, বাংলাদেশ গেজেট ২০১১-এর গেজেট ক্রমিক নং-১৩৩২। অথচ তিনি কখনও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বা তার মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত প্রকৃত কোনো কাগজ, প্রমাণ বা দলিল নেই। শুধুমাত্র অবৈধ উপায়ে ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সনদ। যার সুবাদে গ্রহন করছেন ভাতা সহ অন্যান্য সুবিধাদী। এমন অভিযোগের বারবার তদন্ত ও অভিযোগপত্রে মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ডিজি মহোদয় ব্যবস্থা নিন এমন নির্দেশ বারবার দিলেও মন্ত্রীর এমন নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে, বাংলাদেশ গেজেট অনুযায়ী তোজাম্মেল হক এর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ২০১১ সালে পেলেও তার ছেলে জালাল উদ্দিন বিএনপির সরকারের আমলে ২০০২ সালে পিতার মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কোটা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পায়। জালাল উদ্দিন বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর সার্কেল এ ওসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। যেখানে পিতা তোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছে ২০১১ সালে আর সেখানে সন্তান হিসেবে জালাল উদ্দিন ২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী পায় কিভাবে। এব্যাপারে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও মহা পুলিশ পরিদর্শক এর দৃষ্টি আকর্ষণ পুর্বক জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল। উপরোক্ত অভিযুক্তদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাক্ষাৎ বা কথা বলা সম্ভব হয়নি। চাকুরিতে যোগদানের পর থেকে এপর্যন্ত উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানাবিধ দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতার অপব্যাবহার করে নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকল অভিযোগ সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত চলছে। যার সত্যতা যাচাই করে পরবর্তীতে সংবাদ প্রকাশ করা হবে। (চলমান..)