খুলনা মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর  জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পিঠা উৎসব 

168
খুলনা ব্যুরো
শনিবার সরকারি মহিলা কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পিঠা খাওয়ার উৎসবের আয়োজন করা হয়।
যান্ত্রিক নগর জীবনে পিঠাপুলির স্বাদ নিতে কলেজের হাজার হাজার ছাত্রী-শিক্ষক যোগ দিয়েছেন । কলেজ
ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহসহ আরো অনেকেই।পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সমীর রঞ্জন সরকার, উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী প্রফেসার মো. শাহজালাল, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চায়নীজসহ অন্য শিক্ষকরা। উৎসবে পিঠার স্টলগুলো পরিদর্শন করেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ-গান পরিবেশন করেছেন খুলনার আঞ্চলিক গানের সম্রাট গুরুপদ গুপ্তসহ কলেজের ছাত্রীরা। এদিন কেউ পিঠা খাওয়ায়, কেউ দেখায়, আবার কেউ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তোলায়। সরেজমিনে দেখা যায়, হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে স্টল দিয়ে বসেছেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উৎসবের শুরু থেকেই ভিড় করেছেন তরুণীরা। কত বাহারি নামের পিঠাপুলি যে সাজানো! বাড়িতে এত সব পিঠা একসঙ্গে তৈরি করা সম্ভব হয় না, কিংবা ব্যস্ততার কারণেও হয়ে ওঠে না। এ কারণে উৎসব থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককেই। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিকাশ রায় বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস, যার একটি স্বতন্ত্র অনুষঙ্গ পিঠাপুলি। শীতের দিনে দেশের নানা অঞ্চলে পিঠা তৈরি করা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের কারণে এখন অনেকেই তা আর করতে পারেন না। এ কারণে পিঠা উৎসবে এসে তারা পিঠার স্বাদও নিতে পারছেন, আবার বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচিতও হতে পারছেন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির বলেন, কালের বিবর্তনে পিঠার ঐতিহ্য ম্লান হয়ে আসছে। একসময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেতো। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরজীবীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো অথবা গ্রাম থেকে শহরে বসবাসকারী প্রিয়জনদের জন্য পিঠা তৈরি করে পাঠাতো স্বজনেরা। গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলিকে শহরবাসীর কাছে পরিচিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি মেয়েদের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রীদের মোট ২১টি স্টল রয়েছে।