ফুলতলায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ভাপা পিঠার দোকান, সন্ধ্যা হলেই বিক্রির ধুম

160
মোঃ আল আমিন খান   
ফুলতলা উপজেলায় ফুটপাতের পাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পিঠার দোকান।   পৌষের কনকনে শীতের সন্ধ্যায় সেখানে পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী ও বয়স্করা। দোকানের পাশে ফুটপাতে সন্ধ্যা হলেই জ্বলতে থাকে চুলা একটিতে মাটির খোলা, অন্যটিতে ভাপা পিঠা তৈরির পাতিল বসানো। পিঠা তৈরির ছাঁচে চালের গুঁড়ি নিয়ে তার ওপর খেজুরের গুড়, নারিকেল ছিটিয়ে দিয়ে ভাপে দিচ্ছিলেন দোকানিরা। খোলায় বানানো হচ্ছিল চিতই পিঠা। তৈরি হতেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠা উঠে যাচ্ছিল ক্রেতার হাতে হাতে। শীতের সন্ধ্যায় এমন চিত্র দেখা যায় ফুলতলা উপজেলায় অস্থায়ী কয়েকটি ভাপা পিঠার দোকানে। তবে এমন শতাধিক পিঠার দোকান রয়েছে আনাচকানাচে। সন্ধ্যা হলে প্রতিটি দোকানেই পড়ে পিঠা বিক্রির ধুম।
ফাস্টফুড সংস্কৃতির এই যুগেও শীতের গরম পিঠার জনপ্রিয়তা দিন দিনই বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠা মৌসুমি পিঠাপুলির দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ই তার বড় প্রমাণ। সূর্য ডোবার পরপরই দোকানিরা তাঁদের পিঠার পসরা বসান রাজপথে কিংবা অলি-গলিতে। চুলায় আগুন জ্বেলে একের পর এক পিঠা বানতে থাকেন দোকানিরা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খাবার উপভোগ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না অনেকেই। এসব দোকানে পাঁচ টাকায় চিতই ও পাঁচ থেকে ১০ টাকায় ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। চিতই পিঠার সঙ্গে সর্ষে বা ঝাল শুঁটকির ভর্তা ‘ফ্রি’ মেলে। কথা হয় একটি পিঠার দোকানির সঙ্গে।তিনি জানান,লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি এ পেশা ধরে রেখেছেন। সীমিত খরচে ভালো লাভের আশায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ কেজি চালের গুড়ার ভাপা পিঠা বিক্রি হয়। ৮শ’ টাকা খরচ করে তিনি প্রায় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা করেন। পিঠা বিক্রেতা বলেন, ‘অভাবের সংসারে শীতের মৌসুমে ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়। প্রতিদিন প্রায় তিন থেকে চারশ পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদ দিয়ে দিনে প্রায় ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় হয়। ভাপা পিঠা তৈরিতে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। তাই অল্প সময়ে বেশি আয় হয় বলে পিঠা তৈরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে অনেকেই।