অভয়নগরে রেক্সনা স্বামীকে তালাক দিয়ে যশোর কোর্টে মামলা

115
উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার ) :
‌যশোহর জেলায় অভয়নগর উপজেলা এক গৃহবধু স্ত্রী তার স্বামী ঈশা গাজীকে নিজেই তালাক দিয়ে সমুদয় দেনা – পাওনা বুঝে নিয়ে ধুরন্ধর মোসাঃ রেক্সনা বেগম  স্বামী ঈশা গাজীর বিরুদ্ধে যশোহর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আমলী আদালতে  যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং – সি আর – ৩১৯/১৯।তাং- ২১/৬/২০১৯। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, বিবাহের সময় দেনমোহর পঞ্চাশ হাজার টাকা উল্লেখ ও পরবর্তীকালে পঞ্চাশ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবি করেন। না দেওয়ায় তাকে মারধর সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পিত্রালয়ে তাড়িয়ে দেয় যা এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,অভয়নগর উপজেলার ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়নের বাসুয়াড়ী গ্রামের মৃত সিরাজ গাজীর পুত্র ঈশা গাজী (৪৫) স্ত্রী রেক্সনা চার সন্তানের জননী নিজেই তেইশ বছরের সংসার জীবনের বন্ধন ছিন্ন করে অবশেষে গত ১১ জুন ২০১৯ ইং ৭নং শুভরাড়া ইউনিয়নের ম্যারেজ রেজিঃ মৌঃ মোহাম্মদ আবু মুছা আকুঞ্জীকে নিজেই বাড়িতে ডেকে আনে। ঐ সময়ে ম্যারেজ রেজিঃ সহ অনেকেই ঘর সংসার করানোর জন্য গৃহবধু রেক্সনাকে বুঝিয়েছেন। কিন্তুু ধুরন্ধর রেক্সনা (৩৮) কারোর কথাই কর্ণপাত না নিয়ে উল্টো তার স্বামীকে অব্যহত হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অবশেষে দেনমোহরের দশ হাজার এক টাকা (১০,০০১) টাকা  সহ সমস্ত দেনা – পাওনা বুঝে নিয়ে তালাকে সহি করে পিত্রালয়ে চলে যান। এলাকাবাসী আরো বলেছেন, ঈশা গাজীর মামা হানেফ (৬৫) রেখছোনার বোন সেলিনা বেগম, রশিদা (৩৮), আইয়ূব আলী,চাচাতো ভাই রফিকুল শেখ (৫২), শুকপাড়ার ইমদাদুল,পোতপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর,ঈশা গাজীর মাতা জবেদা বেগম,
 ভগ্নিপতি মুসা (৫০)সহ অনেকেই বুঝিয়েছেন। এলাকাবাসী একাধিক শালিশ বৈঠক করেছেন।কিন্তু তারাও আক্ষেপ করে বলেছেন,ওর স্বভাব – চরিত্র কোনদিনই ভালো নয়। যা তালাকে চরিত্র হীনতার কারনে দেনমোহর ও খোরপোষ বাবদ সমুদয় টাকা বুঝিয়া পাইয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে সহি সম্পাদন করেন যা তালাকে স্পষ্ঠ উল্লেখ আছে। উপজেলার ৬ নং বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পোতপাড়া গ্রামে গিয়ে রেখছোনা ঈশা গাজীকে অব্যহত জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বলেছেন, তোর জীবন শেষ করে দেব। অনুরুপ হত্যার হুমকি দিয়েছেন ধুরন্ধর রেক্সনার ভাই জাকির শেখ (৪৩)। নিরুপায় হয়ে ২ জুলাই ১৯ ঈসা গাজী অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাসুয়াড়ী ক্যাম্পের এ এস আই আইনাল বাদীকে হাজির করে কিন্তুু বিবাদী জাকির ও তালাক দিয়ে যাওয়া ধুরন্ধর লোভী রেক্সনার বাড়িতে যান। অজ্ঞাত কারনে তাদের পুলিশ ক্যাম্পে ডাকেন নাই। এলাকার সচেতন মহল বলেছেন, ঈশা গাজী একজন সহজ সরল হতদরিদ্র লোক। রেক্সনা নিজেই স্বামীকে তালাক ও সমুদয় দেনা – পাওনা বুঝে নিয়ে  কিভাবে আবার কোর্টে মামলা করল?সে একজন চরিত্রহীন নারী। এলাকার মানুষ আরো অভিযোগ করে বলেন,১১ জুন ১৯ তালাক দিয়ে আবার ২১ জুন ১৯ কেন  মিথ্যা মামলা দিয়ে  হতদরিদ্র ঈশা গাজীকে হয়রানি করা হল। ধুরন্ধর রেক্সনা বেগম ও তার ভাই জাকির শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।