বেনাপোল চেকপোস্টে ভারত ভ্রমনে পাসপোর্ট যাত্রীরা ভ্রমণ কর পরিশোধে বিড়ম্বনা

162
উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার ) :
যশোহর জেলার বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধের বিধান চালু থাকলেও প্রচারের অভাবে তা চালু হচ্ছে না। গত দুই দিন ধরে লক্ষ্য করা গেছে,সোনালী ব্যংকের চেকপোস্টে বুথে লাইনে দাড়িয়ে ভারতে ভ্রমণে যাওয়া পাসপোর্ট যাত্রীরা এখনো ভ্রমণকর পরিশোধ করছেন।
স্থলপথে যারা বিদেশে যান তাদের জন্য ভ্রমণ কর পরিশোধের বড় ধরনের একটা ভোগান্তি। শুধুমাত্র নির্ধারিত সোনালী ব্যাংক গুলোতে ও স্থল বন্দর গুলোতে ট্রাভেল ট্যাক্স বা ভ্রমণ কর দেওয়া যেত। এর ফলে স্থলপথে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া ব্যক্তিদের চুড়ান্ত ভোগান্তি হতো। অবশেষে অনলাইনের ভ্রমণ কর দেওয়ার সেবা চালু করল সোনালী ব্যাংক। তাদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দেওয়া যাবে এ কর।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাচঁ হাজারের অধিক লোকজন যাতায়াত করেন বলে জানিয়েছেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি খোরশেদ আলম বলেন, ভারত গমণে ভ্রমণে ইচ্ছুক প্রত্যেক যাত্রীকে পাঁচশত টাকা ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয়। দেশের যে কোন সোনালী ব্যাংকে এই টাকা জমা দেওয়া যায়। তবে দেশের প্রায় ৯০ ভাগ যাত্রী চেকপোস্ট বুথে জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করে থাকেন। আর এ কারণেই সময় অপচয় ও হয়রানির শিকার হতে হয়। যাত্রীরা না জানার কারণে আইনটি কার্যকর হচ্ছে না। এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপ – পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, এখন থেকে ভারত ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক প্রত্যেক যাত্রী পাঁচশত টাকা ভ্রমণকর অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। আমরা এ বিষয়টি প্রচার করছি। এটি শীঘ্রই সবাই জানতে পারবেন। ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ইং এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইন ট্রাভেল ট্যাক্স সুবিধা চালু ঘোষণা করেছেন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনাঃ মোঃ রহমাতুল মুমিন বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন। খুলনার ডুমুরিয়া সুলগ্না বসু,যশোহর রাজঘাট জাফরপুর এলাকার কেকা বসু, স্বপন বসু, ঝর্ণা বসু, ঢাকার নবমিতা সরকার ও পার্থ সরকার বলেন,বেনাপোল চেকপোস্টে এসে ভ্রমণ কর পরিশোধ করে রশিদ সংগ্রহ করতে সব সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনলাইন বিধান চালু হওয়ার আগে থেকেই ভ্রমণ করের রশিদ সংগ্রহ  করা যাবে। এতে চেকপোস্টে এসে সময় অপচয়ের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া গেল।
আজ সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়. ভ্রমণ কর দেওয়ার জন্য যাত্রীরা সোনালী ব্যাংক বুথে যাত্রীদের লম্বা লাইন। পুরো বিষয়টি হাতে লিখতে হয় বলে এ কর জমা দিতে যাত্রীদের সময়ের অপচয় হচ্ছে। আরো অনেক ভারত গমনে ভ্রমণ যাত্রীদের আলাপালোচনায় জানা যায়, এ বিষয়ে তারা জানেন না। এবার আসলে আমরা ভ্রমণ করের টাকার রশিদ কেটে নিয়ে আসবো। অন্তত ঝামেলা থাকবে না। সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডএ ও যে কোন ধরনের মোবাইলের ওয়ালেট দিয়ে এ কর পরিশোধ করা যাবে।