গ্রামীণফোন, বাংলালিংক , ইউনিলিভার কর্মীদের বাসায় কাজ করার নির্দেশ

32

গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও বহুজাতিক কোম্পানী ইউনিলিভার চলমান করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কারণে কর্মীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার থেকে তাদের এ আদেশ কার্যকর করা হবে। দুই অপারেটরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করতে বলে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলালিংক। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কর্মীদের বাসা থেকে অফিস করতে বলেছে। বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,আপাতত ভিপিএন চালু করে দেয়া হয়েছে এবং কিছু সফটওয়ারে এক্সেস দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গ্রুপভিত্তিক কর্মীদের প্রতিদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজ করা হবে। আর বিশেষ ক্ষেত্রে অফিসে যেতে বলা হয়েছে, তবে দল বেঁধে নয়।

সে ক্ষেত্রেও বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এগারশো কর্মীকে বাসায় বসে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে গ্রামীণফোনের কর্মীদেরও বাসা থেকে কাজ করার দির্দেশনা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান মানবজমিনকে বলেন, করোনা সতর্কতায় সোমবার থেকে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে যেসব ক্ষেত্রে গ্রাহককে সরাসরি জরুরি সেবা দিতে হবে সেখানে কর্মীরা বিশেষভাবে কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রেও যথাসম্ভব সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তারপর সেবা দিতে বলা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। গ্রামীণফোন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এমপ্লয়ী এবং ব্যবসায়িক পার্টনারদের নিরাপদ রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন বিবেচনায় নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এমপ্লয়ীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি যেখানে আমাদের ৭ কোটি ৬৫ লাখ গ্রাহকের চলমান সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। আমরা মনে করি এমন একটি সময়ে গ্রাহকদের পাশে থাকা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। আমাদের এমপ্লয়ী যারা সরাসরি গ্রাহক সেবার সাথে জড়িত নন তাদেরকে বাসা থেকে অফিস করার জন্য উৎসাহিত করছি। একই সাথে যারা সরাসরি গ্রাহক সেবা দেবেন তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করছি। একই সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি যেনো সরাসরি যোগাযোগ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা যায়। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নিদের্শনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।