ফকিরহাট প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধে মাইকিং করে ঘোষনা (ফকিরহাট সংবাদ)

58

ফকিরহাট থেকে বাদশা আলম

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সদর বাজারের চায়ের দোকান সহ যে কোনো স্থানে কেরাম বোর্ড ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। ফকিরহাট উপজেলা প্রশাসন এবিষয় উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভীন ও ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম বলেন ফকিরহাটে সদর সহ ৮টি ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজার গুলোতে মাইকিং করে বলা হয়েছে ও বিভিন্ন বাজারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিদর্শনে যাচ্ছে । কোনো চা স্টল কোনো দোকান ও হাট বাজার গুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। একাধিক লোক জড় হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে । তিনি আরো বলেন প্রত্যকে সতর্ক থাকতে ও সু-সাস্থ্যর জন্য নিয়ম মেনে চলার জন্য ফকিরহাট উপজেলার জনসাধারনকে আহ্বান ও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তিতে সরকারি ভাবে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোথাও কোনো স্থানে জনসমাগম করা যাবে না।এছাড়া দ্রব্য মূল্য নিয়মনুযায়ী বিক্রয় করতে হবে।অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া যাবে না আর মজুদও রাখা যাবে না । যেসব অসাধুব্যবসায়ীরা এ সুযোগটা কাজে লাগাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

ফকিরহাটে অসহায় বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের সোনাখালি গ্রামে ৪ কন্যা সন্তানের জননী বিধবা নারী ভাসুরের শারীরীক মানসিক নির্যাতন সহ টাকা পয়সা আত্মসাৎ এর প্রতিবাদে ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে, ২৩ শে মার্চ(সোমবার) সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইশরাত সুলতানা নামের অসহায় বিধবা নারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমার স্বামী মৃতঃ ফজলে আক্তার মিজান, মুলঘর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামে আমার বাড়ি। আমার ৪ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান।ছেলে ২০১৩ সালের ২৩শে নভেম্বর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে।আর আমার স্বামী ২০১৫ সালের ১৪ই জুন ফকিরহাট বিশ্বরোড মোড়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধী অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে ৯ দিন পরে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা আমার স্বামীর মেঝো ভাই ফজলে রহিম জিন্নাহ এর কাছে প্রদান করে যা আমাদের অজানা ছিল। পরে বিষয়টি জানার পর সেই অর্থ চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার স্বামীর মৃত্যুর ৪/৫ দিন পর থেকেই ফজলে রহিম জিন্নাহ আমাকে জোর পূর্বক দলিলে সই করাতে চাই, যে দলিলটি ছিল সম্পত্তি ছিনিয়ে নেবার। আমি সই করতে না চাইলে আমাকে প্রতিনিয়ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো।আমার স্বামী মৃত্যুকালে ৪ কন্যা সন্তান রেখে মৃত্যুবরণ করেন। ৪ কন্যা সন্তানের ২ জনের বিবাহ হয়েছে আমার স্বামী জিবিত থাকাকালীন। আর ২ কন্যা সন্তানের একজন ক্লাস নাইনে আরেকজনের বয়স সাড়ে ৪ বছর।এমতাবস্থায় আমি আমার মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।রাতে আমরা ঘুমালে ফজলে রহিম জিন্নাহ প্রায় ঘরের দরজা জানালায় ঢিল ছুড়ে মারে এতে আমরা আতরে উঠি।শুধু তাই নই যখন প্রয়োজনে বাহিরে যায় তখন ঘরের সামনে গরু বেঁধে রাখে,ঘরের ভিতর গোবর ও ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ করে রাখে।কিছুদিন আগে আমার ছোট মেয়ে আসওয়াত ফাতিমাকে গুম করে আমাকে জোর করে দলিলে সই করার পায়তারা চালাই। আমার বাসায় কোন মেহমান বা মেয়ে জামাই আসলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সে।এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় অভিযোগ করলে ।সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিন্নাহকে থানায় ডাকা হয়, থানায় তাকে কেনো ডাকা হলো তার জবাবদিহিতা চাই পুলিশের কাছে।একপর্যায়ে পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে যায়।এবং অভিযোগের বিষয়টি সন্দেহতিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে ৫৪ ধারায় চালান দেয় ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ। এর পরে আদালত থেকে জামিনে এসে তার অত্যাচারের মাত্র আরও বেড়ে গেছে যেটা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে চরম নিরাত্তাহীনতা দূর্বীসহ জীবন যাপন করছি। সেই সাথে আমি জোর দাবি জানাই যে অর্থ আত্মসাৎ করেছে, সেই অর্থ যাতে আমি ফেরত পাই এবং আমি যেন আমার মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারি আপনাদের মাধ্যমে সেই সহযোগীতা পাওয়া সহ ন্যায্য বিচারের আশায় এই সংবাদ সম্মেলন করলাম। এ বিষয়ে জিন্নাহ তার পরিবারের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

চিতলমারীতে অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে
ভ্রাম্যমান আদালতের অর্থদন্ড
বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করায় ৬ ব্যবসায়ীকে এক লক্ষ ২৫ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুল আলম এ অর্থদন্ডাদেশ দেন। পরে তিনি সদ্য বিদেশ ফেরতদের বাসার সামনে সরকারি ভাবে লাল পতাকা টানানো এবং চিতলমারীর সকল গরুরহাট বন্ধের নির্দেশ দেন।দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের নাজমুল শেখ,পরিতোষ কীর্ত্তনীয়া, চন্দ্র শেখর হাজরা, পরিতোষ সাহা, প্রদীপ সাহা, ইসমাইল হোসেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বলেন, করোনা ভাইরাসকে পূঁজি করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করছিল। এ খবর পেয়ে চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রির দায়ে চাল ব্যবসায়ী নাজমুল শেখকে ২০ হাজার, পরিতোষ কীর্ত্তনীয়া ৩০ হাজার, চন্দ্র শেখর হাজরা ২০ হাজার, পরিতোষ সাহা ৩০ হাজার, প্রদীপ সাহা ১৫ ও ইসমাইল হোসেনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া জনগুরুত্ব বিবেচনা করে সদ্য বিদেশ ফেরতদের বাসার সামনে সরকারি ভাবে লাল পতাকা টানানো এবং চিতলমারী উপজেলার সকল গোহাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।অপরদিকে, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে নানা তথ্য মনিটরিং করতে চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদে জরুরী বৈঠকে বসেন বাগেরহাটের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মারুফুল আলম, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ, চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সাফা, সিনিয়র সাংবাদিক এস এস সাগর, দেবাশিষ বিশ্বাস, টিটব বিশ্বাস, ব্যবসায়ীগন ও ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবসায়ীগন।

বাগেরহাট যৌনপল্লীর কার্যক্রম বন্ধ, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বিতরণ
বাগেরহাটে জেলার নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে একমাত্র যৌনপল্লীর কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বাগেরহাট পৌরসভা ও সদর উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা যৌন পল্লীর কর্মীদের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বুঝিয়ে বললে যৌন কর্মীরা স্ব-ইচ্ছায় তাদের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষনা করেন। পরে যৌনকর্মীদের চাল, ডাল, তেল, আলু, লবন, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়। এসময়, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়,বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসেম শিপন, তানিয়া খাতুন, যুব মহিলা লীগের আহবায়ক লুনা সিদ্দিকী, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দার, পৗর মহিলা লীগ সম্পাদক সাদিয়া আফরোজ, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্পাদক ডাবলু সরদার উপস্থিত ছিলেন।যৌনপল্লীর সরদার নাসরিন বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা গত ১৫দিন ধরে সচেতন রয়েছি। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন আমাদের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য বলেন। আমাদের সকল কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রেখেছি। তবে যে সহযোগিতা করেছে, তা খুবই অপ্রতুল। আরও বেশি সহযোগিতার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।