খুলনা জেলা প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার হাতে নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। যার ফল শ্রুতিতে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ মানুষের চলাচলে নিয়ন্ত্রন করেছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসন থেকে। এদিকে জনসমাগম স্থান এর মধ্যে অন্যতম জায়গা চায়ের দোকান। কঠোরভাবে প্রশাসন নজরদারি সহ চায়ের দোকান বন্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ নিদের্শ অনেকেই মানলেও সন্ধ্যারপর অভিনব কায়দায় চায়ের দোকান চলছে। বিশেষ করে ফুলতলা থানা ও খানজাহান আলী থানা এলাকার কয়েকটি চায়ের দোকানে।
সরেজমিনে সন্ধার পর কয়েকটি চায়ের দোকানে গেলে দেখা যায়, বাইরের থেকে ঝাপ বা শাটার টেনে দেওয়া । তবে ভিতরে চায়ের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় দোকানি। ফলে জনসমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়ন্ত্রনীহন হচ্ছে মানুষের চলাচল। খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে কয়েকটি চায়ের দোকান বন্ধ হলেও বেশিরভাগ সময় কতিপয় দোকানী চায়ের দোকান রাতের আধাঁরে চালিয়ে যাচ্ছে। ইস্টার্ণগেট বাজারের বাবুর চায়ের দোকান, নান্নুর চায়ের দোকান, পথেরবাজার মুকুলের চায়ের দোকান, নতুনহাট রউফের চায়ের দোকান সহ বেশকয়েকটিতে ঝাপটেনে সন্ধ্যার পর চায়ের ব্যবসা চলছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে অনেকটা ব্যাঘাত ঘটবে এ অঞ্চল গুলোতে। সচেতন মহল মনে করেন, পুলিশকে জনসমাগম অঞ্চল বা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাদা পোষাকে নজরদাড়িতে রাখলে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সহায়ক হবে।