কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১০ টাকার বিনিময়ে পচা দুর্গন্ধময় চাল বিতরণ

54

করোনার ঝড়ে যখন কাঁপছে বিশ্ব কাঁপছে পুরোদেশ। একের পর এক এলাকা হচ্ছে লকডাউন। গৃহবন্দি হচ্ছে মানুষ। করছে অসহায়ত্ব জীবন যাপন আর সেই সময়ও একটি সিন্ডিকেট ঠকিয়ে যাচ্ছে অসহায় দুস্থ গরীব মানুষদের। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকার বিনিময়ে চাল ক্রয় করতে আসা মানুষগুলোকে দেয়া হলো পচা, দুর্গন্ধ, পোকাধরা ও নিম্নমানের চাল। অভিযোগটি উঠেছে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার ডিলার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদকারীদের হুমকি। দায়িত্বরত কর্মকর্তা নীরব।
জানা গেছে, বর্তমানে করোনা এখন বড় আতঙ্ক।

আর সেই আতঙ্কে শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন ভিত। খেটে খাওয়া অসহায় দুস্থ গরীব মানুষ গুলো পড়েছে বড় বিপাকে সময় মতো পাচ্ছেনা সহযোগীতা। এর উপর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে সুবিধাভোগীরা টাকা দিয়ে চাল নিতে গেলে মিলছে নিম্নমানের দুর্গন্ধময় চাল। আশরাফুল, লাল মিয়া নয়নসহ অনেকে  বলেন, আমাদের যে চাল দেয়া হয়েছে তা পচা দুর্গন্ধ এই চালের ভাত খেলে সমস্যা হতে পারে। তারা আরো জানান টাকা দিয়ে চাল নিচ্ছি তাও আবার খাওয়ার অনুপযোগী চাল দিল। তারা এসময় প্রতিবাদ করতেই ডিলারের লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয় তাই বাধ্য হয়ে দুর্গন্ধ পচা চাল নিয়ে এসেছি বলেন তারা। অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার আবুল কালাম আজাদ বলেন মঙ্গলবার থেকে আমি চাল বিতরণ শুরু করেছি এখনো বাকি রয়েছে। ওসি এলএসডি মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তবে দু’একটি খারাব বস্তা থাকতে পারে তা থাকলে পরিবর্তন করে দেয়া হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে একটি সুত্র জানান, ডিলার খুব গোপনে তার নিকট পুর্বের মজুদ দুর্গন্ধযুক্ত কিছু চাল মিশিয়ে তা বিতরণ করায় সমস্যা হয়েছে। এদিকে চাল বিতরনের সময় দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার মোঃ আমিনুর রহমান (উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন) দায়িত্বে থাকলেও কোন নজরদারী করেননি বা অভিযোগ আমলে নেননি বলেন অভিযোগ করেন চাল নিয়ে আসা সুবিধাভোগী।