করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সম্পৃক্তদের বিশেষ সম্মানী দিতে ১০০ কোটি টাকা এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ যুদ্ধে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি সদস্যসহ প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমা বাবদ ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব পালনকালে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে পদমর্যাদা অনুযায়ী প্রত্যেকের জন্য থাকছে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবিমা এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমা বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭৫০ কোটি টাকা। চিকিৎসক-নার্স ও অন্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুরক্ষা সরঞ্জামের কোনও ঘাটতি নেই। নিজেকে সুরক্ষিত রেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। এ ভাষণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিয়োজিত পুলিশ-সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আনা-নেয়ার কাজে এবং মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকারের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীগণসহ জরুরি সেবা কাজে যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসক নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীকে দেশবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের মনোবল না হারাতে পরামর্শ দেন। বলেন, ‘ চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে একেবারে সামনের কাতারে থেকে করোনাভাইরাস-আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের পেশাটাই এ রকম চ্যালেঞ্জের। এই ক্রান্তিকালে মনোবল হারাবেন না। গোটা দেশবাসী আপনাদের পাশে রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যে সব সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যক্ষভাবে করোনাভাইরাস রোগীদের নিয়ে কাজ করছেন ইতোমধ্যেই তাঁদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। তাঁদের বিশেষ সম্মানী দেয়া হবে। এ জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।’