মোঃ জাহিদুর রহমান
বুধবার খুলনা বয়রা বাজারে গেলে দেখা যায় জনতার উপচে পড়ার ভীর। বিকাল পাচঁটার পর ওষুধ এর দোকান বাদে সবকিছু বন্ধ ঘোষনা থাকলেও এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা লুকিয়ে আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বেচাকেনা। কেউ আসছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে, কেউ আবার আসছে বাইরের জগতটাকে ঘুরে দেখতে। অধিকাংশ লোক বিনা প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বেশিরভাগ লোকের ভীতরে নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা, নেই মুখে মাস্ক হাতে নেই কোন গ্লাবস। কোন ভাবেই দূরত্ব মানছে না সাধারণ জনতা। প্রশাসন বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করলেও এক শ্রেনীর লোক প্রশাসনের সাথে প্রতিনিয়ত খেলছে চোর পুলিশ। সরকারি সকল নিয়ম নীতিকে অমান্য করে চলছে জনগন। এভাবে চলতে থাকলে নোভেল করোনা ভাইরাস কোন ভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কথা হয় এলাকার কিছু লোকের সাথে তারা জানান বয়রা এলাকা জুড়ে প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা। প্রশাসন কঠোর না হওয়াতেই এমনটা দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। অএ এলাকায় সন্ধ্যায় ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন অলি গলিতে ছোট খাট দোকান গুলোতে চলছে রমরমা ব্যবসা। সচেতন মহলের দাবী প্রশাসন যেন অচিরেই কঠোর ব্যবস্থা নেয় তাহলে হয়তো করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, খুলনার বয়রা এলাকাই সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস রোগি শনাক্ত হয়। এরপরে বয়রার করিম নগর এলাকায় লকডাউন করা হলেও পুরো বয়রা এলাকায় এখনও মানুষ সামাজিক দুরত্ব নাম মাত্র মানছে। বিষয়টি নিয়ে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সচেতন মহল।