খুলনায় খেয়াঘাটে অধিক সংখ্যক জনগন নিয়ে পারাপার করছে মাঝি  : স্বাস্থ্য ঝুঁকি

55
মোঃ আল আমিন খান 
শুক্রবার সকাল ১২ টায় সময় খুলনার ফুলতলার নতুনহাটের খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সরকারি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন  নিয়ম নীতি থাকলেও কোন ভাবেই মানছে না নতুনহাটের ঘাট মাঝি ও মালিক পক্ষ। অধিক জনসংখ্যা নিয়ে নদী পার করছে খেয়াঘাটের মাঝে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেও মাঝিকে কঠোরভাবে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো ফুলতলা থানা থেকে। কিছুদিন থানা পুলিশের নিয়মিত টহলে নিয়ম মানলেও এখন আর মানছে না এই খেয়াঘাটের মাঝি। জন সংগম এড়াতে থানা থেকে বলা ছিলো  ৫- থেকে ১০ জন করে নদী পারা পার হবে। কিন্ত প্রশাসনের কোন কথা না মেনেই প্রতিটা সময় ১৫ থেকে ২০ জন, কখন ও আবার তার বেশি জনগন একই খেয়াতে নদী পার হচ্ছে। একদিকে যেমন মানছে না অল্প সংখ্যক কিছু জনগন নিয়ে পার হওয়ার কথা অন্য দিকে মানছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সাধারণ মানুষকে নিন্মতম ১ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও টলারে মানুষ উঠেই একজন এর পাশেই আরেকজন দাড়িয়ে আছে।
অধিকাংশ লোকের মুখে নেই কোন মাস্ক নেই কোন হ্যান্ড গ্লোবস। এভাবেই যদি চলতে থাকে নদী পারাপার তাহলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এলাকাবাসী। তাই প্রশাসনের দরকার আরো কঠোরভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যাতে করে নতুনহাটের খেয়াঘাটটি যেন পূর্ণ নিয়ম শৃঙ্খলা নিয়ে চলাচল করে। তা না হলে যেভাবে এপার থেকে ওপার জনগন আশা যাওয়া করছে তাতে করে যে কোন সময় নোভেল করোনা ভাইরাসে ভয়াল থাবাতে পড়তে পারে এলাকাবাসী।
কথা হয় ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের সাথে তিনি জানান জনগনের উচিত নিজের থেকে সচেতনতা হওয়া। পুলিশ দিন রাত বিভিন্ন জায়গাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করা সহ সাধারন জনগনকে সচেতন করছে। তাই যার যার অবস্থান থেকে উচিত সকলের সতর্ক হওয়া। আগামীকাল থেকে প্রশাসন নদীর ঘাটগুলোতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিবেন বলে জানা যায়।