তেরখাদায় নব্বই বছরের বৃদ্ধার রহস্যজনক মৃত্যু, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ

59

শাওন আহমেদ 

খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার সাহাপাড়ায় ঘটেছে মর্মান্তিক ঘটনাটি। ২৯ এপ্রিল বুধবার সকাল এগারোটায় ৯০ বছরের বয়োবৃদ্ধা সুমিত্রা সাহা সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ী দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করে এলাকাবাসি। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ করার অনুমতি দেয়। বিকাল ৫টায় তার শেষকৃত্য করা হয়।
এদিকে সরজমিনে প্রতিবেশীরা জানায়, বৃদ্ধা মাকে তার পুত্র ও পুত্রবধূরা ঠিকমত যত্ন নিতেননা। পুত্রবধূরা প্রায়ই তাকে অপমান-অপদস্ত করতো। এ কারনেই হয়ত অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, যিনি ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেননা, লাঠি ভর করে চলাফেরা করেন তিনি কিভাবে নিজের শাড়ী দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারেন।
মৃত ব্যাক্তির দুই ছেলের প্রায় একই বক্তব্য, তার মা পেটে ব্যথার  ও মানষিক রুগি ছিল কিন্তু মাকে কখনও কোনো ডাক্তার দেখাননি।
বিধান সাহা মৃতের বড় ছেলে, তেরখাদা উপজেলা সদরের রড-সিমেন্ট এর ব্যবসায়ী। আর ছোট ছেলে দিলীপ সাহার মিষ্টির দোকান। আর্থিক কোনো অনটন ছিলনা।তাহলে কেন কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাননি সাধারন জনমনের প্রশ্ন।   তেরখাদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ঘটনা শোনার পর আমি গিয়েছিলাম, তবে কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা আমি বলতে পারবোনা। তবে ঘটনাটি আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে।
এ বিষয়ে তেরখাদা থানার ওসি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ করার অনুমতি দেই। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, মামলা নং ১০।
আন্তর্জাতিক মানবধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক এর তথ্য অনুসন্ধান পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম খান এবং  খুলনা বিভাগীয় সেক্রেটারী মোঃ শাহাদাত হোসেন শাওন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসকল তথ্য পেয়েছেন। তারা উক্ত ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেন ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।