ফুলতলায় সরকারি আইন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কিছু ব্যবসায়ি ব্যবসা পরিচালনা করছে

187
রিপোর্ট : মোঃ আল আমিন খান / ছবি : মামুন মোল্যা

খুলনার-ফুলতলা বাজারের খুব কাছাকাছি অভয়নগর। সেখানেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফুলতলাসহ আশেপাশের মানুষও রয়েছে করোনা ঝুঁকিতে। যে কোন মুহুর্তে করোনার ভয়াল থাবা বসাতে পারে ফুলতলা সহ আশেপাশের এলাকায়। কারণ সরকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখা এবং কয়েকটি বিষয় কিছুটা শীতিল রাখায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভির লক্ষ্য করা যায় ফুলতলা বাজারে। এ যেন পূর্বের কোন দৃশ্য। কোন  স্বাস্থ্যনীতির বালাই বা সামাজিক দুরত্ম্য না মেনেই হাজার হাজার ক্রেতা তাদের প্রয়োজন মেটাতে বাজারে আসে।
এছাড়া রোববার সন্ধ্যা ৮ টার সময় ফুলতলা উপজেলা ঘুরে দেখা যায়  কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারী আদেশ অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা বানিজ্য। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ি আছে যারা মাস্ক ছাড়াই ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যমতে,  নোভেল করোনা ভাইরাসে সারা দাপটে  বিশ্ব থমকে গেছে।  সেখানে বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। খুলনা বিভাগ সহ অনেকেই করোনা পজেটিভ  আক্রান্ত হয়েছে অনেকে আবার মৃত্যুবরণও করেছে। সাধারন মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে পুলিশ ডাক্তার সেনাবাহিনীসহ অনেক সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছে। অনেকেই আবার মারা গেছে। ফুলতলা থানা পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করলেও কিছু ব্যবসায়ী গোপনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিলো ঈদ উপলক্ষে স্বল্প আকারে দোকানপাট খোলা থাকবে তাও বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। প্রতিটা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় মুখে মাস্ক হাতে হ্যান্ড গ্লোবস সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি সকল নিয়ম মেনে ব্যবসা চালাবে। কিন্তু ফুলতলা থেকে নতুনহাট ও উপজেলা পর্যন্ত দেখা যায় বিভিন্ন চায়ের দোকান মুদিখানার দোকান গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। সমাজিক দূরত্ব মানছে না অধিকাংশ লোক। সন্ধ্যা হলেই অনেক দোকানেই দেখা যায় জনগনের ভীর। প্রশাসন ঘটনা স্পটে আসলে সকলে পালিয়ে যায় পরে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যায় দোকানীরা।
এ বিষয় নিয়ে কথা হয় দামোদর ২ নং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ শিপলু ভূইয়ার সাথে। তিনি বলেন, সরকারের যে নিয়ম আছে তা সকলের মেনে চলা উচিত। সরকারের নিয়মের বাইরে আমরা কেউ নয়।
ফুলতলা বাজার বনিক সমিতির সহ-সভাপতি রবিন বসুর  বলেন, দোকানীরা যে গোপনে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এটা ঠিক নয়। সকলের উচিত আগে জীবন বাঁচানো। আমরা বনিক সমিতির পক্ষ সকলেই বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
ফুলতলা উপজেলার স্বাস্থ্য পঃ পঃ কমকর্তা শেখ কামাল হোসেন বলেন শুধু রাতে নয় দিনের বেলাতেও প্রতিটা জনগন যদি ৩ ফুট করে দূরত্ব বজায় না রাখে তাহলে করোনা ভাইরাসে আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
 এদিকে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা মুঠোফোনে বলেন, সকলকে বার বার সতর্ক করার পরেও যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।