নড়াইলকে করোনামুক্ত ঘোষণা করার পরও নতুনকরে করোনা শনাক্ত

39

নড়াইলে করোনা রোগী থাকা সত্বেও নড়াইলকে করোনামুক্ত ঘোষণা করায় বিভিন্ন মহল থেকে সিভিল সার্জনের অপসারণ দাবি করা হয়েছে। জেলার কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল গ্রামের মসজিদের এক মুয়াজ্জিনের (৬০) করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিয়া ইউএনও বলেন, করোনাক্রান্ত মুয়াজ্জিনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ই মে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া এলাকার বিশ্বজিত রায় চৌধুরী (৫০)। মৃত বিশ্বজিত রায় চৌধুরীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ এসেছে। মৃত বিশ্বজিত রায় চৌধুরীর সংস্পর্শে না আসলেও তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করে গত মঙ্গলবার পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কালিয়ার বড়দিয়া গ্রামের নির্মল রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ^জিত রায় চৌধুরী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন।

ঢাকা থেকে কাশিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর দু’দিন আগে বাড়িতে আসেন তিনি। বিশ্বজিত রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পরের দিন ১০ মে সিভিল সার্জনের উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকটি টিভির স্ক্রলে ব্রেকিং নিউজে বলা হয়-নড়াইল জেলাকে ‘করোনামুক্ত ঘোষণা’ করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী, প্রশাসন ও জনসাধারণের মধ্যে তুমুল সমালোচনা হয়। অনেকই মন্তব্য করেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কীভাবে একটি জেলাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হলো ! রোগ তত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা তৎসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘোষণা ছাড়া কীভাবে নড়াইল জেলা করোনামুক্ত হলো। হাস্যকর এ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও সমালোচনার ঝড় উঠে। বিভিন্ন পেশার মানুষ দায়িত্বহীন এ সংবাদ প্রচারের জন্য নানা মন্তব্য করেন। আর সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল মোমেনের অপসারণ দাবি করেন তারা। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল মোমেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগোযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সৌজন্যে : মানবজমিন।।