বন্ধ হল দক্ষিনবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার

51

আরিফুর রহমান সেতু, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

সকাল থেকেই এদিক ওদিক করে চাপ বাড়তে থাকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের।  করোনা মোকাবেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে যাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হল শিমুলিয়া কাঠালবাড়ী ফেরী। ফেরী বন্ধ হওয়ায় মাওয়া ঘাটে আটকে আছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ২ হাজার মানুষ।  করোনার উৎকন্ঠা ছাপিয়ে তাদের প্রত্যাশা নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা।
ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম। সোমবার  বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশনা আসলে সব ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়। বিকেলে মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন থেকে ফেরি বন্ধের ঘোষণা আসে। সকাল থেকে দল বেঁধে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ফলে বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সবধরনের ফেরি।শিমুলিয়া ঘাটের মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবীর বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের ফিরিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু এরপরও যাত্রীরা বিভিন্নভাবে লুকিয়ে আসতে থাকে শিমুলিয়া ঘাটে। সোমবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে মানুষের ভিড় লেগে যায়।
দুপুর ১২টার দিকে চারটি ফেরির স্থলে ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে এতেও চাপ সামলানো যাচ্ছিল না। বিকেলে ফেরি সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে। ঘাট এলাকায় বর্তমানে ১০০টির মতো গাড়ি আছে। এখন যেসব গাড়ি আসছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
হাসাড়া হাইওয়ের সার্জেন্ট সঞ্জয় কুমার সি আই এন টিভি ২৪ কে বলেন, সকাল থেকে কুচিয়ামোড়া পয়েন্টে চাপ সামলাতে খুব কষ্ট হয়েছিল। সাধারন মানুষকে বোঝালেও তারা বুঝে নি।  তারপরেও আমরা ঝুকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিকেলে ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যাত্রী চাপ আর নেই। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। যারা না জেনে আসছেন, তারা আবার ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন।