পল্লী বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং, নাকাল হয়ে উঠেছে ফুলতলা এলাকার গ্রাহক

102

আল আমিন খাঁন।

সারা দিন রাত মিলে ৭-৮ বার লোডশেডিং । তারপরে থাকে তারে পাশে ছুঁয়ে থাকা গাছ কাটার প্রত্যেক মাসের দৈন্দিন রুটিন। গাছ কাটা বাবদও বিদ্যুৎ থাকে না পুরো সারা দিন। এ যেন হিরক রাজার সিদ্ধান্ত। যেমন চালাব ,তেমনি চলবে  এমন মন্তব্য এক পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের। ওই গ্রাহক সামাজিক একটি মাধ্যমে লেখেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেবা প্রদানে চরম উদাসীন। এছাড়া যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবে কাজ করে।

জানাযায়, যশোর জেলার নওয়াপাড়াস্থ পল্লী বিদ্যুৎ -০২ এর অধীনে ফুলতলা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক হাজার হাজার ।  এত বড় বৃহৎ জনবসতিপূর্ণ গ্রাম গুলোতে ওয়েস্টার্ণ জোন বা অন্যান্য বিদ্যুৎ সেবা  গ্রহণের সুযোগ না থাকার কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর জন্য আবেদন করে যাচ্ছে। এ এলাকাগুলোতে বিদ্যুতের বাজারে একা রাজত্ব কায়েম করার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ অনেকটা খাম খেয়ালীপনা ভাবে বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাশার শেখ নামে এক গ্রাহক জানান, পল্লী বিদ্যুতের তারের পাশে পড়ে থাকা গাছ কাটা অভিযান প্রায়ই লেগে থাকে। তবে দু:খের বিষয় আগের থেকে কোন ঘোষনা দেয়না পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তবে অফিসের নম্বরে ফোন করলে ছাফ ছাফ  বলে দিবে আমাদের টিম আগের দিন মাইকিং করেছে। তবে কোন গ্রহে মাইকিং করেছে তা কাররই জানা নাই বলে জানান কৃষক বাশার।

নূর মোহাম্মাদ নামে এক গ্রাহক বলেন , ইচ্ছা থাকলেও পল্লী বিদ্যুৎ পরিবর্তন করার কোন সুযোগ না থাকার কারণে পল্লী বিদ্যুতের বাজে সেবা মুখ বুঝে নিতে হচ্ছে।

মানবাধিকার কর্মী শাওন আহমেদ বলেন, ভোক্তা বা গ্রাহককে তাদের সেবা স্বচছভাবে প্রদান করতে বাধ্য। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনেক সময় সেচ মৌসুমে হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা লোডশেডিং হলে জনজীবন বিপর্যয় হবে । সুতরাং ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মাণে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে ।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২২ মে শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ফুলতলার অভিযোগ কেন্দ্রের মুঠোফোন নম্বর ০১৭৬৯৪০১২৯৪ একাধিকবার কল করলেও  কেউ ফোন রিসিভ করেনি। অথচ ২৪ ঘন্টাই একটিভ ভাবে ফোন রিসিভের জন্য সচেষ্টভাবে লোক রাখা হয় । তবে কোন অদৃশ্য কারণে ফোন রিসিভ হয়নি তা জানা সম্ভব হয়নি।

এখানেই শেষ নয়, এত গেলো নওয়াপাড়া ০২ এর বিদ্যুত সেবার হালহকিত। এখন আসা যাক বিলের দিকে। অনেক সময় ভুল বিদ্যুৎ বিল তৈরিরও বড় ইতিহাস আছে। অনেক সময় গ্রাহকরা প্রতিবাদ করতে এ অফিসেও হানা দিয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি নিয়ে অচিরেই সমাধানের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফুলতলা উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। না হলে গ্রাহক অসন্তুষ্টি চরমে গেলে ভোক্তা অধিকার আইনে পল্লী বিদ্যুত সমিতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারী করেন  অনেক সচেতন গ্রাহক।