ফুলতলায় করোনা ভাইরাসের ভয়াল গ্রাস , স্বাস্থ্য বিধি না মানলে চরম মূল্য দিতে হবে : সচেতন মহল

781
ফুলতলা থেকে মোঃ আল আমিন খান  
ফুলতলা উপজেলার অভ্যান্তরে দুটি থানা পড়েছে। একটি ফুলতলা অপরটি খানজাহান আলী। এই দুই থানা এলাকায় ইতিমধ্যে করোনার ভয়ালগ্রাস পড়তে শুরু করেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে ফুলতলা উপজেলাবাসিকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।
খানজাহান আলী থানা এলাকা-
ফুলতলার প্রথম করোনা রোগি হিসেবে শনাক্ত হন ইস্টার্ণজুট মিলের রপ্তানী বিভাগের কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন এবং পাশ্বাবর্তী আটরা এলাকার বাসিন্দা এ এস আই মাহমুদ। এরপর থেকে ওই মিলের রপ্তানী বিভাগের কর্মকর্তার  সংস্পর্শে আসা মিলের কর্মরত শ্রমিক আজিবুর শেখ ও তার স্ত্রী পারুল  বেগম করোনায় আক্রান্ত হন। এ দিকে ইস্টার্ণ জুট মিলে হিসাব বিভাগের আর এক কর্মকর্তা সুমন আহমেদ এর স্ত্রী শারমিন (২৭) করোনায়া আক্রান্ত হন। এর পর থেকে ইস্টার্ণ জুট মিলের মধ্যে কয়েকটি ভবন লক ডাউন করা হয়।  ফুলতলা থানা এলাকা-
ফুলতলার (এম এম কলেজের পাশে) পয়গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে সনুর পুত্র মেহেদী হাসান (২৫) এবং দামোদর সাহা পাড়ায় দূর্গাপদ’র পুত্র সুমন সাহা (৩৫) নামে একজন করোনায় আক্রান্ত হন। এখন পর্যন্ত ফুলতলা থানা এলাকায় দুইজন কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
এখন পর্যন্ত ফুলতলা থানা ও খানজাহান আলী থানা এলাকার যে সকল স্থানে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির তথ্য পাওয়া গেছে সেই এলাকার থানা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লকডাউন ঘোষনা করেন। এছাড়া সম্ভ্যব করোনা রোগির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোমকোয়ারাইন্টেইন রাখা হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার ওসি শফিকুল ইসলাম ও ফুলতলা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন,“ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও আক্রান্তের বাড়ির আশে পাশে লকডাউন করা হয়েছে। করোনা বিষয় নিয়ে আমরা সৌচ্চার রয়েছি।
সচেতন মহল মনে করেন, ফুলতলা উপজেলায় কেবল মাত্র ৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সংক্রামিত এর তালিকা দীর্ঘ হলে চরম মূল্য দিতে হবে আমাদের। তাই এখনই স্বাস্থ্য বিধি সহ নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে দৈন্দিন এর কাজ চালিয়ে  যেতে হবে। তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে বাসায় থাকতে হবে।
একটি সূত্র জানায়, ইস্টার্ণগেট এলাকার গাবতলা , মশিয়ালী অঞ্চল  অনেকটা করোনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ  এই দুটি অঞ্চলের বেশকিছু কর্মী রয়েছে যারা ইস্টার্ণজুট মিলের করোনা আক্রান্তদের কাছে গিয়েছিল পেশাগত কারণে।
করোনার সনাক্তের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না আমাদের সচেতনতা। তাই শান্তির শহর বলে খ্যাত খুলনাকে করোনা নিয়ন্ত্রন করতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোন বিকল্প নেই।