খুলনা বিভাগে শনাক্ত সাড়ে ১১শ’ জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

30

খুলনা ব্যুরো

রেড জোনে থাকা করোনার নতুন ‘হটস্পট’ খুলনা বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১শ’তে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই ৩৫-৪০জন করে বাড়ছে পজিটিভের সংখ্যা। এছাড়া খুলনা জেলায় ৪জনসহ বিভাগের দশ জেলায় মোট মারা গেছেন ১৫জন। এতে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
এদিকে, খুলনায় একজন চিকিৎসকসহ নতুন করে আরও ৩৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ জেলায় ৩৫ জন রয়েছেন। এছাড়া ঝিনাইদহের দুইজন, সাতক্ষীরা ও মাগুরার একজন করে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী পাওয়া গেছে ১ হাজার ১৪৬ জন। সুস্থ হয়েছে ৩৭৮জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। এ বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়।
তিনি আরো জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৩০৪জন, বাগেরহাটে ৪৯, সাতক্ষীরায় ৬৩, যশোরে ১৮৩ জন, ঝিনাইদহে ৭২ জন, মাগুরায় ৫২, নড়াইলে ৫২, কুষ্টিয়া ২০১, চুয়াডাঙ্গা ১৩৭জন ও মেহেরপুর জেলায় ৩৩জন।
এদিকে খুমেক সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীসহ জেলায় বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ ৩৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে বুধবার খুলনায় ৩১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন খুলনা জেলার নমুনা ছিলো ১৬৩টি। এছাড়া বৃহস্পতিবার নমুনা ছিলো ১৬৮টি। এভাবে খুলনায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার খুমেকের পিসিআর মেশিনে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিলো ১৬৮টি। এদের মধ্যে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার ৩৫ জনই খুলনার। খুলনায় শনাক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ২৫জনই মহানগরীর বাসিন্দা। এছাড়া দিঘলিয়া উপজেলার ৭ জন, ডুমুরিয়া উপজেলার ১জন ও দাকোপ উপজেলার ২ জন রয়েছেন। অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার ১জন, মাগুরা জেলার ১জন ও ঝিনাইদহ জেলার ২ জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার খুমেকের ল্যাবে শনাক্ত হওয়া ৩৯ জনের মধ্যে রয়েছেন খুলনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৬ বছরের একজন তরুণ চিকিৎসক, খুলনা জেলা কারাগারের তিনজন কারারক্ষী ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ছয়জন সদস্য।