খুলনায় ডাঃ মিজানুর রহমান করোনা আক্রান্ত, সুস্থতা কামনায় বিবৃতি

270

আবু হামজা বাঁধন, ডেক্স রিপোর্ট।

সম্প্রতি খুমেক হাসপাতালের আরএমও পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ডাঃ মিজানুর রহমান। কয়েকদিন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শুরু হলো করোনা বিপর্যয়। এদিকে করোনা হাসপাতলের ফোকাল পার্সন হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পান তরুন এই চিকিৎসক। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়েও কখনও ডাঃ মিজান তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি।  তিনি সাহসিকতার সাথে ফোকাল পার্সন হিসেবে পুরো দায়িত্বই কাধে নিয়েছিলেন। ফলে করোনা আক্রান্তের তালিকায়ও তার নাম বাদ পড়েনি। শুক্রবার খুমেক হাসপাতালের তথ্যসূত্রে ডাঃ মিজানুর রহমান করোনা পজেটিভ হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন। এখন তার সবথেকে বড় পরিচয় তিনি একজন করোনা রোগি।  ফলে দেশবাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন ডাঃ মিজানুর রহমানের পরিবার। এছাড়া তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকর্মী, খুমেক হাসপাতালের সহকর্মী সহ পুরো খুলনার চিকিৎসকদের মাঝে দুঃখের মেঘ মলিন হয়ে ঢেকে গিয়েছে। এদিকে ডাঃ মিজানুর রহমানের কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর শুনে ফুলতলা উপজেলা সহ দামোদরগ্রামে শোক বিরাজ করছে।

তবে ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, আমি সৃষ্টিকর্তার নামে করোনা আক্রান্তদের সেবায় নেমেছি। তিনিই আমাকে সুস্থ্য করে তুলবেন। আমি কোনভাবেই বিচলিত নয়। তবে আমি যদি এই মুহুর্তে করোনা আক্রান্ত না হতাম, তাহলে দেশের সবথেকে বড় ক্রান্তিকালীন এই সময়ে করোনা রোগিদের সেবা করার সুযোগ পেতাম।

উল্লেখ্য, করোনা হাসপাতালের কাজ শেষ করে সারাদিন ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলেও ফুলতলা উপজেলা সহ আশেপাশের কয়েকটি থানা  থেকে আগত গরীব অসহায় রোগিরা তাদের প্রিয় ডাক্তার ভাইকে ছুটি দিতো না। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোন রকম ফি নিয়ে গরীব অসহায়েদের প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল ডাঃ মিজান। এই করোনা বিপর্যয়কালীন অনেক চিকিৎসক রোগি ফিরে দিলেও, কোন রোগি ফিরে যায়নি মিজানুর রহমানের চেম্বার থেকে। প্রতিদিনই হাসিমুখে এই করোনাকালীন সময়েও চিকিৎসা দিতেন শত শত রোগিদের।

ডাঃ মিজানুর রহমানের সুস্থতা কামনায় বিবৃতি দিয়েছেন সাবেক মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, এমপি, খুমেক হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার, পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ,  স্বাচিপ  সেক্রেটারী ডাঃ  মেহেদী  নেওয়াজ, ডাঃ শিমুল চক্রবর্তী, ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন  সম্পাদক সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পি,  যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এস মৃণাল হাজরা, যুবলীগ নেতা সরদার আশরাফুল আলম কচি,  এসকে মিজান, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইকতিয়ার উদ্দিন।

এছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যে বিবৃতি দিয়েছেন দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট খুলনা ব্যুরো চীফ আবু দাউদ ইমরান, মানবাধিকার প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার আছিফুর রহমান, ফুলতলার সাংবাদিক নেতা তাপস কুমার বিশ্বাস, সেকেন্দার আলী, মো. নেছার উদ্দিন,  মনিরুজ্জামান খান, শামসুল ইসলাম খোকন, ফুলতলা প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মো: সুমন সরদার,  মাজাহারুল ইসলাম, মামুন মোল্যা,

খানজাহান আলী থানা সাংবাদিক ইউনিটের সভাপতি  শেখ বদরউদ্দিন,   খানজাহান আলী থানা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক শেখ আসলাম হোসেন, মোশারফ  হোসেন হাওলাদার, মোড়ল মুজিবর রহমান, রেজোয়ান আকুঞ্জি রাজা, আল আমিন খাঁন, এম হুসাইন সাব্বির ,ইনসাফ আহমেদ, উৎপল কুমার ঘোষ, আনন্দ কুমার স্বর, অনিমেষ  মন্ডল প্রমুখ।