সর্বমহলে “ভাইজান” বলে খ্যাত মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

87
মোঃ আল আমিন খান ,খুলনা ব্যুরো।
সর্বমহলে “ভাইজান” বলে খ্যাত আ’লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। পারিবারিক সূএে জানা যায়
এদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ বাগেরহাটের ফকিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রথম পৌর কমিশনার নির্বাচিত হন। একই সময়ে বর্তমান কেসিসি মেয়রও পৌর কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে খুলনা-২ থেকে তিনি প্রথম এমপি নির্বাচন করেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে তিন দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্র গঠন করেন। মোস্তফা রশিদী সুজা এই ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি আবাহনী ক্লাবের সভাপতি হন। তিনি একজন নাট্য অভিনেতাও ছিলেন। ছিলেন খুলনা নাট্য নিকেতনের সভাপতি। তেরখাদার চিত্রা মহিলা কলেজ, দিঘলিয়ার মোস্তফা রশিদী সুজা মহিলা কলেজ, রূপসা মহিলা কলেজসহ অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন এই জনপ্রতিনিধি। গত বছরের ১৭ জুন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মরহুম এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার সহধর্মিণী খোদেজা রশিদী ইন্তেকাল করেন।  মহানগর ও জেলার রাজনীতিতে অবদানের কারণে সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতায় অতুলনীয় এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা। ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ বাগেরহাটের ফকিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছাত্র জীবনেই ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। পরবর্তীতে আ’লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে শুধু ব্যক্তি নন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নেন। ১৯৭৭ সালে প্রথম পৌর কমিশনার নির্বাচিত হন। একই সময় বর্তমান নব-নির্বাচিত কেসিসি মেয়রও পৌর কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে খুলনা-২ থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন। এ সময় খুলনা মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন সুজা ভাইজান। ১৯৯১, ৯৬ ও ২০১৪ সালে তিন দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন খুলনা-৪ আসন থেকেই। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে যৌথ বাহিনীর অপারেশন ক্লিনহার্টে গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা দিলে প্রবাস জীবন কাটান; এ কারণে ২০০৮ নির্বাচন করতে পারেননি তিনি। পরে হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। ১৯৯১ সাল থেকে খুলনা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৮৬ সালের পর দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জেলা আ’লীগের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭২ সালে শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্র গঠনকালে ইলিয়াস চৌধুরী প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইলিয়াস চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি সভাপতি হন আবাহনী ক্লাবের। এছাড়া খুলনা নাট্য নিকেতনের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন নাট্য অভিনেতাও ছিলেন। তেরখাদার চিত্রা মহিলা কলেজ, দিঘলিয়ার মোস্তফা রশিদী সুজা মহিলা কলেজ, রূপসা মহিলা কলেজসহ অসংখ্য মাদ্রাসা, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন এ ক্ষণজন্মা জনপ্রতিনিধি। এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে নগর ও জেলা আ’লীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরআন খতম, বাদ মাগরিব স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে দলের সূএে জানা যায়।