বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাঞ্চিত করায় ফুলতলা থানায় মামলা, প্রেমিক ইবাদুল চম্পাট

347
মোঃ আল আমিন খান (খুলনা ব্যুরো) 
খুলনা  জেলার ফুলতলার তাজপুর গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেন ভুঁইয়ার  পুত্র মোঃ ইবাদুল ভুঁইয়া (৩২) এর বিরুদ্ধে একাধিকবার নারী কেলেংকারী সহ মাদক আইনে মামলা রয়েছে। কিছুদিন আইনের বেড়াজালে আটকা থাকলেও আবার জামিনে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয় ইবাদুল।
জানাযায়, গত ২ বছর ধরে  ফেসবুকের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার দক্ষিণ আড়াইপাড়া গ্রামের মৃতঃ এছকেন্দার চৌধুরীর কন্যা রোকসানা ইসলাম তুলি (৩০) এর সাথে ইবাদুল ভূঁইয়ার প্রেমের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। তুলি ঢাকার একটি মোবাইল ডাটা কল সেন্টারে কাজ করতো। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় তার বাসায় মাঝে মধ্যে নিজেকে তুলির স্বামী পরিচয়ে যাতায়াত করত ইবাদুল ভূইয়া। সে সূত্র ধরে গত ১৮ জুলাই তুলি ফুলতলায় ইবাদুলের নিজ বাস ভবনে তার বাড়িতে যায়। সেখানে সপ্তাহ ধরে কোন প্রকারের বিয়ে ছাড়ায় ইবাদুল ও তুলি স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই অবস্থান করে। ইবাদুল ঈদ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বাড়িতে আনা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে গত ২২ জুলাই তুলিকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। কথা অনুযায় ইবাদুল তুলিকে আনতে ঢাকায় আর যায়নি। তুলি মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে ভন্ড প্রেমিক ইবাদুল ভূইয়া। অবশেষে তুলি গতকাল (সোমবার) সকালে তাজপুর গ্রামস্থ ইবাদুলের নিজ বাড়িতে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতারক প্রেমিক ইবাদুল সু- কৌশালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।আবার ইবাদুলের পিতা ও মাতা তাকে মেনে নেয়নি। ফলে বিয়ের প্রমান ছাড়াই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাসের বিষটি উল্লেখ করে গতকাল ফুলতলা থানায় তুলি নিজে বাদি হয়ে ইবাদুল ভূইয়া কে আসামী করে ফুলতলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মামলা নং -০১। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, গতকালই ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামী আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য প্রতারক ইবাদুল ভুইয়ার নামে এর আগেও অনেক মাদক মামলা আছে কিছুদিন আগে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ ইবাদুলকে ফুলতলা থেকে জেলা ডিবি আটক করে।