শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টনের স্ত্রীর মামলার জালে মশিয়ালীর মানুষ : প্রতিবাদে মানবন্ধন

350

আবু হামজা বাঁধন, ডেক্স রিপোর্ট

খুলনার মশিয়ালী গ্রামের ট্রিপল মার্ডারের মামলা থেকে বাঁচতে সাধারন গ্রামবাসিদের সাজানো নাটকীয় মামলার জালে ফেলেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন শেখের স্ত্রী শারমিন আক্তার তানিয়া। মামলায় ৫৩ জনকে আসামী দেখানো হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক রোজোয়ান রাজাকেও মামলায় জড়িয়েছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শিরোমনিতে খানজাহান আলী থানা প্রেস ক্লাবের উদ্যেগে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশারফ হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী শেখ আসলাম হোসেনের পরিচালনায় মানবন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন।

প্রধান অতিথি শেখ আবিদ হোসেন বলেন, খুনীরা বাঁচার জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা করছে। অবলিম্বে ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামী জাকারিয়া ও মিল্টনকে গ্রেফতার করে আইনে আওতায় আনতে হবে। এছাড়া সাংবাদিক রেজোয়ান আকুঞ্জী রাজা সহ ৫৩ জনের নামে নাটকীয় মিথ্যা মামলায় কাউকে হয়রানি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

বক্তারা আরো বলেন, মূলত: হত্যা মামলা থেকে সন্ত্রাসী মিল্টন, জাকারিয়া ও জাফরিনকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা মামলার ফাঁদ পাতা হয়েছে ।  খুনীরা মনে করছে, তানিয়ার দায়ের করা কাউন্টার মামলায় ফেঁসে গেলে তখন ট্রিপল মার্ডারের বাদি মামলা উঠিয়ে নিতে পারে । এসব দিবা স্বপ্ন দেখছে আসামীরা। বক্তারা আরো বলেন,  তাই মিল্টনের স্ত্রী তানিয়াকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। যেহেতু মিল্টনের সাথে তানিয়ার যোগসূত্র রয়েছে। তাই অবিলম্বে তানিয়াকেও গ্রেফতার পূর্বক তদন্তের দাবি জানানো হয় মানবন্ধন থেকে।

নাটকীয় মামলায় জড়িত রোজোয়ান রাজা বলেন, মশিয়ালী গ্রামে খুনীদের তান্ডবের চিত্র প্রতিদিনই আমার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতাম। এছাড়া মিছিল মিটিং-এ আমি ও আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা মুন্সী শামীম এখন পর্যন্ত মশিয়ালীগ্রামে প্রতিবাদ মিছিল, সমাবেশ ও মাবন্ধন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। যার অংশ হিসেবে আমাকে দমানোর জন্য হয়তোবা মামলার বাদি তানিয়া আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা দিয়েছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন থানা আ’লীগ সেক্রেটারী শেখ আনিছুর রহামন, বীর মুক্তিযোদ্ধা  স.ম রেজোয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান  শেখ মনিরুল ইসলাম,  শ্রমিক নেতা সরদার আব্দুল হামিদ, ফ.ম লিয়াকত আলী, মনিরুজ্জামান মুকুল, কামাল মুন্সী, ইউপি সদস্য আ: সালাম, এস এম বখতিয়ার পারভেজ, আমিরুল ইসলাম, আ: সত্তার মোল্যা, রানা হাওলাদার, তরুন যুব নেতা শেখ তরিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মুন্সী শামীম, যুবলীগ নেতা ফজর আকুঞ্জী, ইসমাইল ।

সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দ কুমার স্বর, আবু হামজা বাঁধন, মোড়ল মুজিবুর রহমান, অনিমেষ কুমার মন্ডল, মিয়া বদরুল আলম, মনিরুল ইসলাম মোড়ল, নাঈমুর রহমান, হাফেজ নাঈম, কিশোর কুমার, জিয়াউল ইসলাম, ফরহাদ মোড়ল, মামুন মোল্যা, জহিরুল ইসলাম (প্রমুখ)।