ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ নিপার বিরুদ্ধে রোগির স্বজনদের অভিযোগ

1127

আবু হামজা বাঁধন, ডেক্স রিপোর্ট।

খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দিলজাহান নিপার বিরুদ্ধে রোগির স্বজনদের অভিযোগ উঠে এসেছে। জানাযায়, দামোদর উত্তর পাড়া থেকে আগত খায়রুননেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা গুরুত্বর অবস্থায় ফুলতলা এ হেলথ্ কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ভর্তির পর রোগিকে এ হাসপাতালে রাখতে নারাজ আরএমও নিপা। রোগির স্বজনরা অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে তাদেরও সামার্থ্য নেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাল কোন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার। ডাঃ নিপা রোগি খায়রুননেছার বড় মেয়েকে সাফ সাফ জানিয়ে দেন ভাল কোন হাসপাতালে রোগিকে নেওয়ার জন্য। তিনি কোনমতে এ রোগিকে ভর্তি করে রাখবেন না। আর রাখতে চাইলে বন্ড সই দিয়ে রাখতে হবে।

রোগির স্বজন নূরুননেছা আরো জানান, আমি আকুতি মিনতি করার পরেও ডাঃ দিলজাহান নিপা আমার মাকে কোন রকম রাখতে চাইনি এ হাসপাতালে। আমার কাছে টাকা না থাকার কারণে বার বার-ই এ হাসপাতালে ভর্তি রাখতে বলি আমার মাকে। এক পর্যায় স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার অনুরোধে ডাঃ নিপা ওই রোগিকে পুনরায় ভর্তি রাখতে চান। তবে রোগির স্বজনদের দিতে হবে বন্ড সই। এরকম বিব্রতকর অবস্থায় রোগির কন্যা নূরুননেছা দিশাহারা হয়ে বাধ্যতামূলক নিজের বাড়ি নিয়ে যান তার মা খায়রুননেছাকে। বাড়িতে নেওয়ার কয়েকঘন্টা পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মা খায়রুননেছা।

প্রশ্ন দেখা দেয়। যেখানে স্বজনরা হতদরিদ্র হওয়ার কারণে সরকারি এ হাসপাতালে তাদের রোগিকে  রিলিজ বা রেফার্ড না করার অনুরোধ জানায়। সেখানে কি এমন কারণ ঘটে যে, সেই রোগিকে ভর্তি রাখা যাবে না। তবে রাজনৈতিক ব্যক্তির ফোন পেয়ে আবারও ভর্তি করার প্রক্রিয়া চলে সেই রোগিকে। তাহলে প্রশ্ন দেখা দেয়। সাধারন মানুষের থেকে ডাঃ নিপার কাছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গুরুত্ব অত্যাধিক। এ বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে ডাক্তার নিপার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার একজন সহকারি ফোন রিসিভ করে জানান, উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা নিষেধ।

ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, যে রোগির বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেন, সেই রোগির শারিরীক অবস্থা ছিল আশংকা জনক। ফলে তাকে ডাঃ নিপা রিলিজের সিদ্ধান্ত নেন। তবে রাজনৈতিক নেতার ফোনে কেনই বা সেই রোগিকে আবারও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সে বিষয় কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি সদ্য যোগদানকৃত এই টিএইচও।

টোকেন বা স্লিপ ব্যবসা

উল্লেখ্য, এর আগেও ডাঃ নিপার বিরুদ্ধে হাসপাতালে রোগি দেখার সময় রোগিদের টেস্টের জন্য মনোনিত ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টারের স্লিপ ধরিয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল। সে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় লেখালেখি হলে স্লিপ বা টোকেন এর ব্যবসা প্রকাশ্যে বন্ধ রাখেন ডা: নিপা। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়, ফুলতলার একটি ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টারে বিভিন্ন টেস্টের জন্য মৌখিকভাবে রোগিদের যাওয়ার জন্য বলেন। অনেক সময় অভিযোগ উঠেছে তার মনোনীত ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টারের আল্টাসনোগ্রাম না করালে সে রিপোর্ট দেখে না।

আগামী প্রতিবেদনে বিস্তারিত আসছে………….