খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নে সন্ত্রাস বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত

110

খুলনা ব্যুরো
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নের মান্দারতলা ও ব্রক্ষ¥ারবেড় এলাকায় নব্য সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ও অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ঘের ব্যবসায়ীসহ এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সন্ত্রাসী বাহিনীর মূল নেতৃত্বে রয়েছে এক সময়কার যুবদল ক্যাডার ও বর্তমান যুবলীগ পরিচয়ধারী মনোজ সরকার। তার নেতৃত্বে বাবু হালদারসহ একটি ‘হোন্ডা বাহিনী’ এলাকায় অপরাধ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। এ পর্যন্ত তাদের হাতে ব্রহ্মারবেড় এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি হামলার শিকার হয়েছেন। তারা এখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, ইউনিয়নের মান্দারতলা ও ব্রহ্মারবেড় এলাকায় এ সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিহত করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানার নেতৃত্বে স্থানীয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে মান্দারতলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রভাস হালদারের বাড়িতে এক মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বিমল কৃষ্ণ সানা। বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দা কলেজের প্রভাষক সরোজ রায়, ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শিক্ষক দীপঙ্কর রায়, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুব্রত মন্ডল, ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রসাদ মন্ডল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সুকৃতি মন্ডল ও ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সুভাস মহোন্ত।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ বাবর আলী গাজী, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ভবেন্দ্রনাথ বালা, ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সুনীল ম-ল এবং সংরক্ষিত ২নং আসনের ইউপি সদস্য সরস্বতী মন্ডল ও ১নং আসনের ইউপি সদস্য অনিমা মন্ডল। এছাড়াও সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ শেখের টাকের মনোজ সরকার এবং ব্রহ্মারবেড় এলাকার বাবু হালদারসহ এই বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত এলাকার বহু নিরীহ মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে শিবু মন্ডল, বিশ্বনাথ সানা, স্বপন সরকার, সুকৃতি মন্ডল, সুব্রত মন্ডল, ভবতোষ মন্ডল ও রামপদ সানাসহ অনেকেই রয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এভাবে তারা নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর হামলা ও মারধর করছে। এমনকি অনেক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করছে, দখল করছে ঘেরসহ জমা জমিও। তাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু তাদের এ ধরনের অপরাধ কর্মকা- দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তারা সম্মিলিতভাবেই এর জবাব দেবেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, মনোজ সরকার ও তার বাহিনীর অপরাধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দে’র কাছে জানানো হবে। তারপরও যদি কোনো প্রতিকার না হয় তাহলে গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এর কঠোর জবাব দেয়া হবে। একই সঙ্গে আইনের আশ্রয়ও নেয়া হবে।
সভার আগে হালদার বাড়িতে স্থাপিত গভীর নলকূপের উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।