প্রকাশ্যে চলছে মাদক বিক্রি, চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে অভয়নগর ও দক্ষিণ নড়াইলে

97

স্টাফ রিপোটার
অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ নড়াইল জুড়ে এখন মাদকের অভয়ারণ্য, প্রকাশ্যে চলছে মাদক বিক্রি যা দেখার কেউ নেই ! মাদক সিন্ডিকেট সদস্যের আত্মহত্যার ১৩ দিনপর রহস্য ফাঁস হওয়ায় আদালতে হত্যা মামলা দায়েরের পর গত ২ দিনে গ্রেফার ২ জন , জিঞ্জাসাবাদের জন্য নড়াইল পুলিশ ইতিমধ্যে তুলে নিয়েছে ৫ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ নড়াইলের চাকই গ্রামে। মাদক কারবারির কুখ্যাত সিন্ডিকেট হোতা চাকই গ্রামের মৃত শরিতুল্য মোল্যার ছেলে ইউসুফ মোল্যার মাদক সরবরাহ কারী নামে খ্যাত মৃত সাইফুল মোল্যার ছেলে টিটো মোল্যা। চলতি মাসের ১৬-১১-২০ তারিখে সন্ধ্যার পর বাড়ী থেকে বাহির হয়ে আর ফিরে আসেনি,পরে একই দিন দিবাগত রাত ৯.০০ ঘটিকার সময় পার্শ্ববতী মধূরগাতী গ্রামের মফি মোল্যার বাগানে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা নড়াইলের মির্জাপুর ক্যাম্প পুলিশকে খবর দিলে এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে, নড়াইল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয় যার নং ৫৯/২০। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে মৃত্য টিটো মোল্যা একজন ছোটখাটো মাদক ব্যবসায়ী ও জাল টাকার সাপলাইয়ার হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করত এবং মাদক বিক্রেতা হিসাবে ইউসুফের সহোযোগি ছিলো , তবে মাদক বিক্রয় করে ইউসুফকে জাল টাকা দিতো আর প্রতিনিয়ত বলত পার্টি জাল টাকা দিয়েছে, এলাকাবাসি এটাকেই টিটো হহ্যার মুল কারণ বলে মনে করছে। এবিষয়ে মৃত্য টিটো মোল্যার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে জানালেন তার স্বামী ঘটনার দিন শেষ বিকালে চাকই বাজার থেকে একটা মুরগী এনে দিয়ে বলেছিল তিনজন লোক আসবে দ্রুত রান্না কর, পরে সালমানের মটরবাইকে চড়ে চলেযায় উত্তর দিকে আর ফিরে আসেনি। তিনি আরো জানালেন ওনার আব্বু (মৃত টিটো) বাড়ী থেকে বের হওয়ার ৮/১০ মিনিঠ পর ইউসুফ মোল্যা এসে তাকে (ফাতেমা) বলে ঘরের চাবি দে ! মাল আছে বের করে সরাতে হবে, ডিবি রেট হবে। এইকথা বলে চাবিনিয়ে ঘর থেকে সব গাজা ও ইয়াবা নিয়ে চলে যায় আর সে ফিরে আসেনি।এ দিকে টিটোর পরিবার ও বংশের কেউ হত্যার বিষয়ে সামনে না আসলে ও টিটোর ছোট মামা আকিজ শেখ বাদী হয়ে ২৬/১১/২০২০ তারিখে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে নড়াইল আমলী আদালতে দ-বিধি ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করে যার নং এম পি ১১২/২০। বিঞ্জ আদালত হত্যা মামলা আমলে নিয়ে নড়াইল থানাকে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দিলে নড়াইল থানা অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত মাদক স¤্রাট ইফসুফের স্ত্রী কে গ্রেফতার করে এবং মৃত টিটোর মা মিনারা বেগম, ভাই বাবুল, বন্ধু রায়হান ও স্ত্রী ফাতেমা কে তথ্য যাচায়ের জন্য নড়াইল থানায় নিয়ে আসে ।পরে বিকালে ইউসুফ ও তার স্ত্রী কে আটক দেখিয়ে বাকীদের ছেড়ে দেয় এর আগে ইফসুফ মোল্যা বেনাপোল সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গত শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার হয়। গতকাল শনিবার তাকে নড়াইল থানায় নিয়ে আসাহয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নড়াইল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল। জানাগেছে ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৪ টি ইউনিয়ন ও দক্ষিণ নড়াইলের ৫ টি ইউনিয়নে মাদকের ভয়াবহতা এতটাই যে হাত বাড়ালেই অনায়াসে মিলছে গাজা, মদ, ইয়াবা সহ সবধরণের মাদক। বাঘুটিয়া, শ্রীধরপুর, শুভরাড়া, সিদ্ধিপাশা, পিরোলি,বিছালী ইউনিয়ন সহ ভৈরব উত্তর পূর্বাঞ্চ ও নড়াইল সদরের দক্ষিণ নড়াইলের একাধিক পয়েন্টে চলছে মাদকের রমরমা ব্যাবসা। অনুসন্ধানে জানাগেছে পর্দার অড়ালে রয়েছে স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়া, সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িদের অর্থের ছিটানিতে এগিয়ে এসেছে খুজরা মাদক ব্যবসায়িরা, তারা প্রতিনিয়ত মাদক কেনা বেচার জন্য দাদনের টাকা নিয়ে মাদক ব্যবসা করে থাকে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে দুরদুরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত মাদক কারবারীরা এই অঞ্চলে এসে মাদক সরবরাহ করে থাকে আরো জানাগেছে এই অঞ্চলে বিগত ৬/৭ মাসে এক ডজনের ও বেশী নতুন মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। মাদকের ব্যবসায় সহজে অল্পপুজিতে রাতারাতি প্রচুর টাকা অর্জন করা যায় বলে শিক্ষিত বেকার সমাজ মাদক ব্যবসায় ঝুকে পড়ছে বলে জানা গেছে। সিন্ডিকেট হোতা মাদকের একাধিক কুখ্যাত স¤্রাটের হাতধরে ২ ডজনের ও বেশী বড় মাদক ব্যবসায়ী এখন নেতৃত্ব দিচেছ এই গোটা ভৈরব উত্তর অঞ্চল জুড়ে । যার কারণে সহজে জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণির স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিজাত বংশের সন্তানেরা। ধ্বংস হচ্চে যুব সমাজ, প্রতিনিয়ত চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই বেড়েই চলেছে যা নিয়ে সংকিত এলাকার সুধি মহল।