সন্ধ্যা নামতেই নতুনহাটে রউফের চায়ের দোকানে উঠতী বয়সী তরুনদের আড্ডা : মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

183

খুলনা ব্যুরো।।

খুলনার ফুলতলা নতুনহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীত দিকে আঃ রউফ নামে এক  দোকানী চায়ের ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘ দিন। তবে বিগত ৮/৯ মাস যাবৎ লক্ষ্য করা যায় সন্ধ্যা নামতেই এ চায়ের  দোকানী উঠতী বয়সী তরুনদের আড্ডা শুরু হয়। এছাড়া করোনাকালীন কোন প্রকার স্বাস্থবিধি দোকানী রউফ সহ বেশিরভাগ ক্রেতারা মানছে না। মাস্ক ছাড়া অধিকাংশ সময়ে চায়ের দোকানে চলে জমজমাট আড্ডা। এর আগেও বেশ কয়েকবার স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে এ চায়ের দোকানীকে সতর্ক করলেও কোন  কাজ হয়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যখন খুলনার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করে যাচ্ছে । সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এ চায়ের দোকানে ব্যবসা পরিচালনা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দুর দুরান্ত থেকে প্রতিনিদিই প্রায় ১/২ শ মোটরসাইকেল ভীর জমে নতুনহাটে । বেশিরভাগই রউফের নিয়মিত কাস্টমার। চায়ের দাম রাখা হয় ২০ থেকে ১০০ টাকা। তবে মাদকাসক্ত কিছু ব্যক্তিরা প্রতিদিনিই সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চা  খেতে আসে।  তথ্য সংগ্রহে আরো জানাযায়, অনেকেই রউফের চা কে পিনিক চা হিসেবে চিনে থাকেন। তবে ১০০ টাকা কাপের পিনিক চা নাকি বিশেষ শ্রেনীর জন্য ।

গভীর রাত পর্যন্ত স্বাস্থবিধি ছাড়াই জমে উঠে চায়ের আড্ডা
গভীর রাত পর্যন্ত জমে উঠে চায়ের আড্ডা

ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি মাহাতাব শিকদার বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রনে আমরা সকাল সন্ধ্যা কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আমি পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

করোনার দ্বিতীয় ধাপ সামাল দিতে প্রয়োজন স্বাস্থ বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। যার ফলে শুধু রউফের চায়ের  দোকান নয় বরং প্রতিটি বানিজ্যক প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে স্বাস্থবিধি মানতে হবে। তাহলে প্রথম ধাপের মত আবারও করোনা বিপর্যয় কমে আসবে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।