যশোর মনিরামপুরে চোখে টর্চ মারাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে হত‍্যা

55
উৎপল ঘোষ (ক্রাইম রিপোর্টার ) যশোর :
যশোর মনিরামপুরে মুকুল হোসেন ( ৩২) নামে এক কুখ‍্যাত মাদক কারবারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা।
গতকাল রাত আনুমানিক প্রায় ১১ টায় উপজেলার মদনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মুকুল হোসেন ঐ গ্রামের আমির মোড়লের ছেলে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন – শিরিলি মদনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে টিপু সুলতান (২৯) ইন্তাজ আলীর দুই ছেলে রায়হান হোসেন (২০) ও টিপু সুলতান (৩০ )।কাশিপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সাজেদুল ইসলাম( ২০) ও আসাদুল ইসলাম (২৬)।
নিহত মুকুল হোসেনের স্ত্রী লায়লা সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আগে আমার স্বামী মাদকের ব‍্যবসা করত ঠিকই। কিন্তু বতর্মানে সে আর মাদক ব‍্যবসা করে না। আমার স্বামী সাড়াপোল বাজারে ছিলেন।এলাকার একাধিক সুত্র জানান, নিহত মুকুল পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন মাদক ব‍্যবসা করে আসছিল।কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে জীবন নাশের হুমকি। ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতেন না।
মুকুল হত‍্যার ঘটনায় নিহতের পিতা আমির হোসেন মোড়ল বাদি হয়ে মনিরামপুর থানায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,.একটি সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ দিন আগে শিরিল মদনপুর গ্রামে মোন্তাজকে বেধড়ক মারপিট করে মুকুল হোসেন।গতকাল রাতে মোন্তাজের বাড়ির পাশে মৎস‍্য ঘেরের উদ্দেশ্যে যান তিনি।ওই সময় মোন্তাজের ছেলে টিপু সুলতানের চোখে টর্চ লাইট মারাকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি মুকুলের সঙ্গে বাকবিতন্ড হয়।এর পর রাত প্রায় ১১ টার দিকে দুর্বৃত্তরা মুকুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়।পরে আশপাশের লোকজন মুকুলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতিয়ার রহমান শিকদার বলেন,নিহত মুকুল মাদক ব‍্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। কি কারনে প্রকূত ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।তবে তদন্ত চলছে আসল রহস‍্য ঠিকই বেরিয়ে আসবে।প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। তার নামে থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে ৮ টি মামলা রয়েছে। অভিযান চালিয়ে আমরা ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আরো২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন‍্য আনা হয়েছে।