সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় বাজার ও দোকান সন্ধ্যা ৭ টার পর বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখাসহ ৫ দফা নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। খুলনা জেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দশনা না দেওয়া পর্যন্ত জারি করা এ আদেশ কার্যকর থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শনিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম, সামাজিক, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ন্ত্রণ, যান চলাচল, পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্রে জনসাধারণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরণের লক্ষ্যে খুলনা জেলার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে – খুলনা জেলার দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা উপজেলাধীন সুন্দরবন কেন্দ্রিক সকল ধরনের পর্যটন কার্যক্রম ও পর্যটকদের দর্শন বন্ধ রাখতে হবে। সুন্দরবন কেন্দ্রিক ট্যুর আয়োজন কারীদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ট্যুর কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হলো। খুলনা জেলা ও মহানগরের সকল ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, পিকনিক স্পট, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে। ক্লিনিক, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্যান্য সকল দোকান, বাজার প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সন্ধ্যা ৭ টার পর কোন দোকান, বাজার খোলা থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাবারের দোকান রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।