ডুমুরিয়া উলা গ্রামের কৃতি সন্তান এমপি নারায়ন চন্দ্র চন্দের ৭৫ তম শুভ জন্মদিন

258
মোঃ আল আমিন খান – সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার 
বর্তমান প্রজন্মের অহংকার উন্নয়নের অগ্রদুত উলা গ্রামের সেই ছেলেটি শ্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার উলাগ্রাম চন্দ্র বংশের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দ ও স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দের দ্বিতীয় পূত্র । ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। স্ত্রী-ঊষা রাণী চন্দ স্কুল শিক্ষিকা । তিনি ৩ পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জননী। জ্যেষ্ঠ পুত্র  প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি এবং সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন টিচিং এন্ড লানিং এর পরিচালক। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের পরপর দুই বার নির্বাচিত ডীন। অন্যদিকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন। শিক্ষা জীবনে বাবু নারায়নচন্দ্র চন্দ অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বিএ অনার্স ও ১৯৬৭ সালে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর কর্মচাঞ্চল্যের পরিচয় সব মানুষের দোর গোঁড়ায় । প্রাণবন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ আচারনে আজ এলাকাবাসি আশান্বিত । এছাড়া রয়েছে তাঁর অসাধারণ ধী শক্তি,  অবিচলিত অধ্যবসায়, সরলাপূর্ণ সৎ স্বভাব ও অক্লান্ত উদ্যেম দূরদর্শীতা। শ্রী নারায়ন চন্দ্র  চন্দের অবস্মরণীয় র্কীতি যেমন আকাশচুম্বী, তেমনি মানবতাবোধ প্রখর সংবেদনশীল। সমাজের কল্যাণে তাঁর নিরহংকার ভূমিকায় ফুলতলা-ডুমুরিয়াবাসি ধন্য ও গর্বিত। ছাত্র জীবনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ আয়ুব বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের খুলনার ডুমুরিয়া থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থনে ডুমুরিয়া থানা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোর থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে চুকনগর স্কুল মাঠে বক্তৃতা করেন। ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু  স্নেহভরে তাঁর পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন , “ তোদের মত শিক্ষিত ছেলেদের আমার দরকার”। নারায়ন চন্দ্র চন্দ ১৯৮৪ সালে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক ও ১৯৯৫ সালের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্য জীবীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ৩৯ বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক সমিতিরও নেতৃত্বদেন এই বর্ষিয়ান নেতা। এছাড়া তিনি ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও  ২টি  মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। জন প্রতিনিধি হিসেবে সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডার পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একনাগাড়ে দীর্ঘ ২৯ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর খুলনা ৫ আসনের উপ-নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে তৃতীয়া বারেরমত নির্বাচিত হয়ে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।