মশিয়ালীতে মারামারি ঘটনায় দু’পক্ষের মামলা, ৮৭ বছরের বৃদ্ধাও মামলার জালে

217

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি।।

খুলনার খানাজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোপাকুপির মত নৃশংস ঘটনা ঘটে। জাহিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি তার (চাচাত ভাইয়ের ছেলে) তামিম শেখকে (১৫)কে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এখানেই শেষ নয়। এরপর চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। জাহিদ শেখের ভাই হাসমতের দাবি তাঁর ভাই জাহিদ শেখ (৫২) আহত হয়েছে। মারামারি ঘটনার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে খানজাহান আলী থানায় আহত তামিমের পিতা সাহিদুল হক মনু বাদি হয়ে জাহিদ শেখ, হাসমত শেখ ও মুন্না শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২।  এদিকে জাহিদ শেখের পরিবারের পক্ষথেকে ৬ জুন রাতে মনু শেখ সহ তাঁর স্ত্রী শ্যামলী বেগম, ছেলে আহত তামিম শেখ ও চাচা নূর মোহাম্মদ শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩।

প্রসঙ্গত নূর মোহাম্মদ আলী শেখ মশিয়ালী মিনাবাজার বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ৮৫ কোঠায় বয়স দাঁড়িয়েছে। নিজে কোন মত হাটা চলা ফেরা করতে পারে। তারপরেও জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হতে হলো তাকে। এমন মন্তব্য এলাকাবাসীর। নূর মোহাম্মদ শেখ হলেন জাহিদ শেখ ও মনু শেখের আপন ছোট চাচা। তবে মনু শেখকে বেধরক মারপিট করতে আসায় পুলিশের কাছে সব কিছু খুলে বলায় তাকে মামলার জালে ফাঁসানো হয়েছে বলে নূর মোহাম্মাদ পরিবারের দাবি।  মশিয়ালী গ্রামে  প্রবীন ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব নূর মোহাম্মদ শেখকে হয়রানি মূলকভাবে মামলায় জড়ানোর বিষয় নিন্দার ঝড় উঠেছে।

খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, দুই পক্ষের মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মানবাধিকার কর্মী শাওন আহমেদ বলেন, ৮৫ বছরের বৃদ্ধাকে এ ভাবে মামলার জালে ফেলে হয়রানি করাটা মোটেও কাম্য নয়। যিনি নিজেই চলাচল করতে কিছুটা অক্ষম তিনি আবার কিভাবে মারামারি করবে। এটা নিতান্ত হাস্যকর।

উল্লেখ্য, জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন তার আপন ছোট ভাই শেখ হাসমত আলী। জাহিদ শেখ যে কোন তুচ্ছ বিষয় মানুষ কোপাতে অভ্যস্ত বলে স্থানীয়রা জানান। এর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে তুচ্ছ ঘটনায় কুপিয়েছেন। তার আপন চাচাত বোন আলেয়া বেগম (৫৭) কে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছিলেন। তাই জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে প্রচালিত আইনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তোভোগিরা।