শেখ জিল্লুর রহমান, ফুলতলা থানা প্রতিনিধি
করোনা মহামারির কারণে বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে চলছে অনলাইনে লেখাপড়া। একদিকে অবসর অন্যদিকে অনলাইনের অবাধ ব্যবহার উঠতি বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে ফ্রি ফায়ার বা পাবজি নামক গেমের আসক্তিতে। গেম দুইটি যুব সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠায় ধীরে ধীরে তাদের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যয়বহুল এই গেমস দুটি হয়ে উঠেছে বই বিমুখ ছাত্রদের অবসর বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দু।
অনেক অভিভাবকের অভিযোগ, ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্তদের খাওয়া-ঘুম তো নেই-ই বরং তাদের সময় নেই কারোর সঙ্গে গল্প বা কথা বলার। এভাবে চললে তারা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া ফ্রি ফায়ারে ব্যবহৃত বিভিন্ন চরিত্র ও অস্ত্র ব্যবহৃত হয়, যা সম্পর্কে অনেক পেশাদার সন্ত্রাসীরাও ওয়াকিবহাল নয়।
এই খেলার এক একটা চরিত্র কিনতে অন্তত ৪০০-৫০০ টাকা খরচ করতে হয় তাদের। এই অর্থ তারা কোথা থেকে সংগ্রহ করে তা নিয়েও আতঙ্কিত অনেক অভিভাবক। ছোট বাচ্চারা বাবা-মার কাছে জেদ ধরে টাকা আদায় করে। না দিলে আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। মায়ের সঙ্গে অনেকের বাগবিতণ্ডার জেরে মারামারির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।
সাম্প্রতিক এই মহামারী কোভিড-১৯ এর মহামারি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফুলতলা উপজেলায় এই গেম ও অনলাইনে ক্লাস করার জন্য অজুহাত দেখিয়ে অভিবাবকের কাছে হাজার চেষ্টা করেও যখন মোবাইল পাইনি তখন গলায় দরি দিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে কিছু উঠতে বয়সের যুবকেরা।যা তাদের পরিবার সহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো।
এমন ভাবে চলতে থাকলে এই তরুণ যুব সমাজের ভবিষ্যৎ পুরোই অন্ধকার এবং যা দেশের জন্য একটা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন সচেতন মহল।