লকডাউনে অসহায় মানুষের পাশে সর্বদা নিয়োজিত খুলনা জেলা পুলিশ : এসপি মাহবুব

40

মোঃ আল আমিন খান – সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

খুলনায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সাধরণ মানুষের পাশে আছে খুলনা জেলা পুলিশ। জীবনের ঝুঁকি তবুও কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। এবার লকডাউনে খুলনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ- বাজার ও রাস্তায় চেকপোষ্ট, লাল পতাকা দিয়ে আক্রান্ত এলাকা চিহ্নিত করণ। কঠোর লকডাউন মাঠ পর্যায়ে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে খুলনা জেলা পুলিশ। কঠোর লকডাউনের খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে খুলনা জেলার সকল থানা পুলিশ রাতদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছে । সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেখা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, অসাধারণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আর এই সামগ্রীক কাজের নেতৃত্বে আছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান। অন্য যেকোনো সময়ের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আক্ষরিক অর্থেই কঠোরভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে সকল থানার এলাকায়। কঠোর এই লকডাউনে মানুষের মধ্যে আইন ভাঙ্গার প্রবণতাও কম দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছু কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়া এবং যথাযথ কারণ দেখাতে না পারায় তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাউকে বুঝিয়ে, কাউকে জরিমানা করে ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য, পুলিশ, বাহিনীর আন্তরিকতা উল্লেখ  করার মতো। যেহেতু মূল কাজটি পুলিশকে করতে হয়, তাই তারা তাদের কাজটি যথাযথভাবে পালন করছে। বিগত দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে যেভাবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে খুলনায়। যে কারনে কঠোর লাকডাউন দেয়া ছাড়া বিকল্প আর কিছু নায়। দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে করোনার সংক্রমন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কঠোর লকডাউনে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ কষ্টের কথা ভেবে খুলনা জেলার মানবিক পুলিশ সুপার, মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান,নিজে শ্রমজীবী মানুষের বাড়ি বাড়ি রাতের অন্ধকারে পুলিশ দিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছে । খাবার পেয়ে শ্রমজীবী, কাঠ ব্যবসায়ী, মসৎজীবী, ভ্যানচালক সহ অনেকে খুশি। খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান বলেন, আমি ও একজন মানুষ আমার পরিবার খাবে, আমি এই করোনা মহামারীতে যদি সাধরণ মানুষের পাশে একটু হলেও কিছু খাবার দিতে পারি তা হলে আমার মতো তারাও কিছু খেয়ে ভাল থাকবে। খুলনা জেলার উপকুলীয় এলাকার গরীব মানুষের কথা ভেবে আমি আমার নিজস্ব বেতন থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে পারি এই চেষ্টা সব সময় করব বলে তিনি জানান। আর যাদের ঘরে খাবার নেই এমন কোন লোক থাকলে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন আমি নিজে গিয়ে খাবার পৌছে দিয়ে আসব বলে জানান এ মানবিক পুলিশ সুপার।